আজারবাইজানের সেনাদের অবশ্যই আর্মেনিয়া ছাড়তে হবে: ম্যাঁক্রো

প্রকাশিত: ৪:৩৩ অপরাহ্ণ, জুন ১, ২০২১ | আপডেট: ৪:৩৩:অপরাহ্ণ, জুন ১, ২০২১

আজারবাইজানের সেনাদের আর্মোনিয়ার অঞ্চল থেকে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে কোনো ধরনের শক্তি প্রয়োগ ছাড়াই সীমান্তরেখা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করতে হবে।

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ সম্প্রতি ফ্রান্সে আর্মেনিয়ার অন্তর্বতীকালীন প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের সঙ্গে এক বৈঠকে পর এ মন্তব্য করেন।

এএফপির খবরে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর মধ্যে কয়েকটি ঘটনার জেরে উত্তেজনায় তৈরি হয়। এতে ককেশাস অঞ্চলের প্রতিবেশি দুই দেশের মধ্যে ফের যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়। গত বছর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দুই দেশের মধ্যে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধ সংগঠিত হয়। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় পরে উভয়ই যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হয়।

গত বছর আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজয়ের পর ফ্রান্স আর্মেনিয়ার সব থেকে কাছের বন্ধু হিসেবে দেখা দিয়েছে। আর্মেনিয়ার প্রতি ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশটি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

গত বৃহস্পতিবার আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ২০২০ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তি টেকসই করতে‘এখনও অনেক কিছু করার প্রয়োজন আছে’। আজারবাইজানের সেনাদেরকে অবশ্যই আর্মেনিয়ার এলাকা ছাড়তে হবে।

তবে আজারবাইজানের সেনারা আর্মেনিয়ার ঠিক কোন অঞ্চলে অবস্থান করছে কিংবা দখল করে আছে ম্যাঁক্রো সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।

গত বছর আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধে আরেক ন্যাটো সদস্য তুরস্ক আজারবাইজানের প্রতি সরাসরি সমর্থন ঘোষণা করে।

গত মাসে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান অভিযোগ করেন যে, আজারবাইজানের সেনারা তাদের দক্ষিণ সীমান্তের ‘সেভ লিচ’ হ্রদ দখল করেছে। এই ঘটনা কেন্দ্র করে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ফের উত্তেজনা দেখা দেয়।

গত বছর বিতর্কিত নাগর্নো কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের তীব্র যুদ্ধে আর্মেনিয়া ব্যাপক ক্ষতির কথা স্বীকার করে। আর্মেনীয় এক নেতা এটিকে ঐতিহাসিক বিপর্যয় বলে বর্ণনা করেছেন। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ওই যুদ্ধের সমাপ্তি হয়। যুদ্ধে পরাজয়েরর পর নিকোল পাশিনিয়ান দেশে ব্যাপক চাপের মধ্যে পড়েন।

বিরোধীদের প্রতিবাদের মুখে প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান আগামী ২০ জুন দেশটিতে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ আর্মেনিয়ার সব দলকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ অবসানের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রয়োজনে দলগুলোর মধ্যে ফ্রান্স সংলাপ আয়োজন করতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।