মোদির পর্যালোচনা বৈঠকে দেখা দিবেন না মমতা

প্রকাশিত: ৩:৫১ অপরাহ্ণ, |                          

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পর্যালোচনা বৈঠকে থাকছেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এবং ভরা কোটালের প্রভাবে রাজ্যে কোথায়, কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেই সংক্রান্ত হিসাব প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবেন।

শুক্রবার এ বিষয মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কলাইকুন্ডায় যেতে হবে। ৪৫ মিনিট লাগবে এবং আমাদের একটা কাগজ দিতে হবে। তাই মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য যেতে হবে। কারণ আমি পর্যালোচনা বৈঠকে থাকছি না। আমি শুধু কাগজটা দেব, কোথায়, কী ক্ষতি হয়েছে। যতটা এখনও পর্যন্ত আছে।’

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের আগে উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হয়। শুক্রবার দুপুরে কলাইকুন্ডায় ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনার জন্য মোদি ও মমতার বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। পরে রাতের দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে নবান্নকে জানানো হয়, বৈঠকে থাকবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু।

তৃণমূল সূত্রের খবর, ধনখড় এবং দেবশ্রীর নিয়ে কোনও আপত্তি জানাননি মমতা। কিন্তু শুভেন্দু কোন যুক্তিতে থাকবেন, তা নিয়েই বেঁকে বসেন মমতা। পুরো বিষয়টি রাজনৈতিক বৈঠকে পরিণত করার জন্যই শুভেন্দুকে ডাকা হয়েছে বলে মনে করছেন মমতা। সে বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদির কার্যালয়কে জানানো হয়।

এর আগেই তৃণমূলের দলীয় সূত্রের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, শুভেন্দুকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিজেপি। কিন্তু তা তো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তাহলে কোন যুক্তিতে শুভেন্দুকে ডাকা হল? পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে বিধায়ক হিসেবে যদি শুভেন্দুকে ডাকা হয়, তাহলে জেলার বাকি বিধায়কদের কেন বৈঠকে ডাকা হবে না কেন? সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠকে না যাওয়ার বিষয়ে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।