![ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ঘোষণা দিয়ে ইসরায়েলের গণগ্রেফতার শুরু](https://sylhetnewsworld.com/wp-content/uploads/2021/05/BC800C3B-7557-47E1-B8F6-CB01A022CE03-696x418-1.jpeg)
পশ্চিম তীরে গাজা উপত্যকায় হওয়া সংঘাতের সময় ইসরায়েল অধ্যুষিত এলাকায় বসবাসরত ফিলিস্তিনি নাগরিকরাও প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিলেন। রাস্তায় নেমে করেছেন বিক্ষোভ। এসময় তাদের সঙ্গে ইসরায়েলিদের সংঘর্ষ হয়। গাজায় সহিংসতা বন্ধ হলেও থেমে নেই ইসরায়েলি বাহিনী। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ দেওয়ার অভিযোগে এবার গণ গ্রেফতারের ঘোষণা দিয়েছে তারা। খবর আল জাজিরা।
জানা যায়, ঘোষণা দেওয়া পর ইতিমধ্যে প্রায় দেড় হাজার ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে ইসরায়েলি বাহিনি। আরও অনেককে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
যেসব ফিলিস্তিনি পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জাররাহ উচ্ছেদ অভিযান ও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ করেছে বেছে বেছে তাদেরকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলের পুলিশ এই গ্রেফতার অভিযানকে ‘অপারেশন ল অ্যান্ড অর্ডার’ হিসেবে অভিহিত করেছে। গাজায় ১১ দিনের তাণ্ডবের পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহু। এর পরপরই গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। তাদের আগ্রাসনে নারী-শিশুসহ ২৫৩ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিলো।
গত রবিবার রাতে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, তারা ৯ মে থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১,৫৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে। গত দুই সপ্তাহে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহর ও নগরে বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রাখবে বলেও জানিয়েছে তারা।
লিগ্যাল সেন্টার ফর আরব মাইনরিটি রাইটস ইন ইসরায়েলের পরিচালক হাসান জাবারিন বলেছেন, এটা আসলে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী, রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’। এই গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্য হলো ভীতি প্রদর্শন করা ও ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর প্রতিশোধ গ্রহণ করা।