সিলেট ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২১
দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি দপ্তরে হামলার ঘটনায় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে ইউএনও এবং এসি ল্যান্ডদের সতর্ক করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, প্রয়োজনে ইউএনও এবং এসি ল্যান্ডদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদের সার্বক্ষণিক অস্ত্র ও গুলি সঙ্গে রাখাতে হবে। মঙ্গলবার মাঠ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ফেসবুক গ্রুপে একটি পোস্ট দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
এই পোস্টে তিনি আরো বলেন, উপজেলাগুলোতে ইউএনও এবং এসি ল্যান্ড আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গিয়ে হামলার শিকার হচ্ছেন। ইউএনও এবং এসি ল্যান্ডের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে। থানা আক্রমণ প্রতিরোধ করতে গিয়ে প্রায় সময়ই পুলিশ ইউএনও এবং এসি ল্যান্ডের নিরাপত্তা দিতে অসমর্থ হয়। ফলে যথাসময়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে না।
২৬-২৮ মার্চ ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এক ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই জেলা প্রশাসকের বাসভবন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, থানা, ফাঁড়ি, ভূমি কার্যালয়সহ ৩১টি সরকারি ও আধা সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকারসচিব এসব সহিংসতার জন্য ধর্মান্ধ গোষ্ঠীকে দায়ী করেন। তিনি পোস্টে আরো লিখেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন উপলক্ষে দেশে এক নৈরাজ্য পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, যার দরুন শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়। তাদের এ উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে, দেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে আবার জাগিয়ে তোলা।
হেলালুদ্দীন আরো বলেন, আমাদের নিজস্ব গ্রুপে পোস্টটি দিয়েছি। আমরা ইউএনও বা এসি ল্যান্ডদের নিরাপত্তায় ১৫ লাখ টাকার একটা প্রকল্প নিয়েছি। সেটাও পোস্টে জানিয়েছি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে গত ২৬-২৮ মার্চ ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এই তিন দিনে সরকারি হিসাবেই অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই জেলা প্রশাসকের বাসভবন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, থানা, ফাঁড়ি, ভূমি কার্যালয়সহ ৩১টি সরকারি ও আধা সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। চট্টগ্রামেও উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয়, ডাকবাংলো ও থানায় হামলা হয়। এ ছাড়া গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় ফরিদপুরের সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ও থানায়। গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয় ইউএনও এবং এসি ল্যান্ডের।
Chief Editor : Afroz Khan
Editor: Sunny Ahmed
Executive editor: Mohammed Taizul islam,
Message editor : Shahan Shah Ahmed
Call: +88 01995-019920
Office : West World Shopping City (7nd Floor), Zindabazar, Sylhet 3100
Email : info.Sylhetnewsworld@gmail.com
Web : www.SylhetNewsWorld.com