জাপানে এমপিরা নাইটক্লাবে, ক্ষমা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৬:০২ অপরাহ্ণ, |                          

করোনার বিস্তার রোধে জাপান সরকার দেশবাসীকে বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করছে। আর এর মধ্যেই ক্ষমতাসীন জোটের কিছু আইনপ্রণেতার নাইটক্লাবে বেড়ানোর কাণ্ডে লজ্জিত হয়ে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা। রয়টার্স।

বুধবার পার্লামেন্টে তিনি বলেন,‘এ ঘটনায় আমি অত্যন্ত দুঃখিত। যেখানে আমরা জনগণকে বলছি রাত ৮টার পর বাইরে খেতে যাবেন না এবং জরুরি নয় বা না গেলেও চলে এমন কারণে বাড়ির বাইরে বের হওয়া এড়িয়ে চলুন। প্রত্যেক আইনপ্রণেতার এমন আচরণ করা উচিত যাতে তারা জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেন।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে রাজধানী টোকিওসহ আশেপাশের আরও তিনটি এলাকায় এ মাসেই একমাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে জাপান। সেসব জায়গায় রাত ৮টার মধ্যে সব রেস্তোরাঁ এবং বার বন্ধ করে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। তবে তা অমান্যকারীদের জন্য কোনও সাজা বা জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

নাইটক্লাবে যাওয়া আইনপ্রেণেতাদের একজন ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা জুন মাতসুমোতো সাংবাদিকদের বলেন, ‘একই সময়ে আমরা জনগণকে ধৈর্য ধরতে বলছি আর নিজেরা বেপরোয়া আচরণ করেছি।’মাতসুমোতো গত সোমবার একটি ইতালীয় রেস্তোরাঁ রাতের খাবার খাওয়ার পর টোকিওর দুইটি নাইটক্লাবে ঘুরেছেন।

সরকারি জোটের দল কোমেইতোর আইনপ্রণেতা কিয়োহিকো তোইয়ামাও নিজের কাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি গত শুক্রবার রাতে একটি নাইটক্লাবে যান। এসব ঘটনা জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। টিবিএস টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, জাপানে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি কোভিড আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।

এছাড়া, হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ না পেয়ে অন্তত ২৫ কোভিড আক্রান্ত বাড়িতে মারা গেছেন। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণে জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুগার জনপ্রিয়তা দিন দিন কমছে। সমালোচকরা বলছেন, ভাইরাসের বিস্তার রোধে সুগার নেওয়া ব্যবস্থা ধীরগতির এবং সংগতিহীন।