
◊
আজিজ উল্লাহ,টেকনাফ:
টেকনাফের বাহারছড়া কচ্ছপিয়া এলাকার আব্দুল আজিজ(১১) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হত্যার অভিযোগে এজাহারভুক্ত ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।এঘটনায় সন্দেহজনক আরো দুজনকে আটকের প্রাথমিক জিজ্ঞেসা শেষে ছেড়ে পুলিশ।
সূত্র জানায়, রবিবার (৮ নভেম্বর) রাতে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নুর মোহাম্মদের নেতৃত্বে তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ নিহতের পিতা ফরিদ মিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে কচ্ছপিয়া এলাকার স্থানীয় হাসুমিয়ার পুত্র নবী হেসেন(৬৮),ছৈয়দ আলমের পুত্র মোহাম্মদ রায়হান(১৭),ছৈয়দ হামজার পুত্র আব্দুল্লাহ(১০) ও রাজারছড়ার আবুল হোসেনের পুত্র জসিম উদ্দিনসহ ৪ জনকে আটক করা হয়।পরে ৬জনকে আসামি করে নিহতের পিতা ফরিদ মিয়া বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে এই মামলায় এজাহারভুক্ত ১নং আসামিসহ আরো ২জন অধরা রয়েছে।এদিকে আটকের পর ওলিচাঁদের পুত্র ছৈয়দ হামজা(৭০) ও ছৈয়দ আলমের পুত্র রাশেলকে জিজ্ঞেসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয় তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।
মামলার বাদী ফরিদ মিয়া বলেন,” গত বুধবার দুপুর ২.০০ টায় সময় আমার ছেলে আটককৃত পাশ্ববর্তী আবদুল্লাহ’র সাথে দেখা করতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি।গতকাল সন্ধ্যাবেলা তার মা খোঁজতে খোঁজতে কচ্ছপিয়া মেরিনড্রাইভ সংলগ্ন পশ্চিম পাশে একটি গভীর ঝোপঝাড় থেকে গন্ধ আসলে সেখানে উঁকি মেরে দেখতে তার লাশের সন্ধান মিলে।সেই স্থানীয় একটি
এবতেদায়ী মাদরাসার ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে রায়হানের সাথে একটা মোবাইল চুরি ও সুপারি চুরির ঘটানাসহ আমাদের চাচাতো জেঠাত ভাইদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ রয়েছে।তিনি আরো বলেন কারা হত্যা করেছে কেহ নাদেখলেও সেদিনের বিভিন্ন ইঙ্গিতের উপর ভিত্তি করে ৬জনকে আসামি করে মামলা করছি।আশা করি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে হত্যার মূল রহস্য প্রকাশিত হবে”।
এবিষয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নুর মোহাম্মদ জানান,”নিহের লাশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে কিভাবে আব্দুল আজিজকে হত্যা করা হয়েছে।আটককৃত আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞেস করা হবে”।