যুদ্ধ নয়, শান্তি প্রতিষ্ঠায় সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করা হচ্ছে: হাসিনা

প্রকাশিত: ১:২৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২২ | আপডেট: ১:২৮:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধ নয়, শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউ’র উদ্বেধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যের ৯০ শতাংশ হয় সমুদ্রপথে। তাই অবাধ বাণিজ্যের স্বার্থে এই পথকে নিরাপদ রাখতে হবে।

সমুদ্রের অপার সম্ভাবনা উপলব্ধি করে সরকার এই খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে জানান শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যেকোনো যুদ্ধই মানবজাতির জন্য ক্ষতিকর। বাংলাদেশ কখনো যুদ্ধ চায় না। বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

এর আগে কক্সবাজারের ইনানীতে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লিট রিভিউয়ের (আইএফআর) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এ আয়োজনে যোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতসহ ২৮ দেশের নৌবাহিনীর সদস্যরা।

এর আগে, ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী সৈকতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখান থেকে সড়ক পথে তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনী আয়োজিত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউ (আইএফআর)-২০২২-এর অনুষ্ঠানস্থলে যান।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিবাচক সামরিক ভাবমূর্তি ও সক্ষমতার নতুন বার্তা দিতে এবার বাংলাদেশ আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লিট রিভিউ-২০২২। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যুদ্ধজাহাজ নিয়ে প্রথমবার এ আয়োজনে অংশ নিচ্ছে তারা।

ওই অনুষ্ঠান শেষে দুপুর আড়াইটায় শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

জানা গেছে, সর্বসাধারণের জন্য জনসভাস্থল সকাল ৮টার পর খুলে দেয়ার কথা রয়েছে। তবে সকাল থেকেই লাবণী পয়েন্ট শেখ কামাল স্টেডিয়ামের মাঠে প্রবেশের মূল গেটে হাজার হাজার নেতাকর্মীর জটলা দেখা গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণ উৎফুল্লিত। উৎসবমুখর পরিবেশে আওয়ামী লীগ প্রধানকে স্বাগত জানাতে গোটা শহরটিকে রঙিন সাজে সজ্জিত করা হয়েছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, সাধারণত মানুষ পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে কক্সবাজারে আসে। কিন্তু আজ জেলাটির বিভিন্ন এলাকার মানুষ আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সামনে থেকে দেখতে ও তার বক্তৃতা শুনতে এই জনসভায় আসছে।