ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি:শামলাপুর বাজরেও নির্ধারিত দামে মিলছে না কিছুই

Jaber Jaber

Ahmed

প্রকাশিত: ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০২০ | আপডেট: ৯:২৩:পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০২০

 

আজিজ উল্লাহ,বিশেষ প্রতিনিধি:

শামলাপুর বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে ভোগ্যপণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। তদারকির অভাবে সিন্ডিকেট সদস্যরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর ভোক্তার পকেট কাটছে প্রতিনিয়ত। বাজারের ইজারাদার বা সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের তদারকি হচ্ছে না।শামলাপুর বাজানো দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম উত্তর সব রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকে সিন্ডিকেট চক্র ।দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন চাল, আলু,তেল, মুরগির ,গরু-ছাগল, শাকসবজি ইত্যাদি পণ্য বাজারে ঢোকার আগে সিন্ডিকেটের লোকজন স্বল্প দামে কিনে নেয়। পরে চড়া দামে বিক্রি করে সাধারন জনগনের কাছে।এসব চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করলেও করার কিছুই থাকে না।সরকারের দেওয়া সঠিক ইজারাদাররা বাজার পরিচালনা না করার কারণে প্রতিদিন ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারের ইজারা হয় প্রতিবছর শামলাপুর বাজার কয়েকটি সিন্ডিকেটের বেড়াজালে আবদ্ধ।

পেঁয়াজে দামে আগুন লাগার পর চক্রটি চাল, আলু ও ভোজ্যতেল নিয়েও কারসাজি শুরু করেছে। হু-হু করে বেড়েছে দাম। তবে এ তিন পণ্যের দাম কমাতে সরকার মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও তা বাজারে কার্যকর হয়নি। ব্যবসায়ীরা এখনো বেশি দামেই বিক্রি করছেন পণ্যগুলো। ফলে দামের উত্তাপে নাকাল ভোক্তা।

এর মধ্যেই আলুর বাজার স্থিতিশীল করতে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার। কোনো মজুদদারের কাছে দ্বিগুণ আলু মজুদ থাকলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এজন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হিমাগারে রাখা আলুর মজুদের তথ্য চেয়ে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে ।

সপ্তাহজুড়ে প্রতি কেজি আলু কিনতে ভোক্তাকে ১৫ টাকা বেশি গুনতে হয়েছে। এছাড়া ২২ অক্টোবর বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠকের পর মিল পর্যায়ে সরকার ভোজ্যতেলের দাম বেঁধে দিলেও তা কার্যকর হয়নি। এতে পাইকারি বাজারে দাম কমার প্রভাব না পড়ায়, খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১০০ টাকায় ঠেকেছে।
সচেতন মহল মনে করেন সাধারণ জনগণের ভোগান্তি কমাতে হলে ইজারাদারদের নজর দিতে হবে সিন্ডিকেটের দিকে।শামলাপুর বাজারের ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি এম এ মঞ্জুর বলেন এইসব সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।