টেকনাফে ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা

Jaber Jaber

Ahmed

প্রকাশিত: ২:০৯ অপরাহ্ণ, |                          

 

আজিজ উল্লাহ, টেকনাফ:

ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা করার জন্য বঙ্গোপসাগরসহ সারাদেশের নদ-নদীতে ইলিশ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর।তা বাস্তবায়ন করতে টেকনাফের উপকূলীয় মৎস্য প্রাণিসম্পদ আহরণের অঞ্চল শামলাপুর মৎস্য ঘাটে
সচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) বিকাল ৩.০০ টার দিকে বাহারছড়া শামলাপুর মৎস্য ঘাটে ইলিশ না ধরার
জন্য উপজেলা মৎস্য অফিসার দেলোয়ার হোসাইনের
নেতৃত্বে জেলেদের সঙ্গে সচেতনতামূলক সভা হয়।

এসময় বক্তারা বলেন, সরকারের নিষিদ্ধ ঘোষিত ২২ দিন বন্ধের এসময়ে ইলিশ আহরণ,পরিবহন, মজুদ,বাজারজাতকরণ,ক্রয়-বিক্রয়সহ বিনিময় করা দণ্ডনীয় অপরাধ বলে হুঁশিয়ার করেন।একটা মা ইলিশ ২০-২২ লাখ অব্দি ডিম ছাড়ে তা থেকে একচতুর্থাংশ বেঁচে থাকলেও সাগরে ইলিশের সয়লাব হয়ে যাবে পরবর্তীতে এসব ইলিশ জেলেরাই আহরণ করবে তাই ইলিশের ডিম ধ্বংস না করে মৎস্য প্রাণিসম্পদ বাড়াতে সকল জেলেদের নিষিদ্ধ সময়ে মাছ শিকারে বিরত থাকার আহবান জানান। সভা শেষে জেলেদের মাঝে ইলিশ সচেতনমূলক লিফলেটও বিতরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বুধবার ১৪ অক্টোবর মধ্য রাত থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রে ইলিশ সহ সব ধরনের মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর।

এদিকে ইলিশ না ধরার উপর সচেতনতা মূলক সভা শেষে মৎস্য ডিপার্ট্মেন্টের অধীনে ইকোফিশ প্রকল্পের মাধ্যমে শামলাপুর স্থানীয় প্রান্তিক জেলে বঁধুদের মাঝে নিরাপদ শুটকি উৎপাদনের জন্য ১০০ জনের মধ্যে ১০ কেজি করে কাঁচা পোয়াঁ মাছ বিতরণ করা হয়েছে।

বিষ ছাড়া বিশুদ্ধ শুকনো মাছের উৎপাদন বাড়াতে ধাপে ধাপে আরো বিতরণ করা হবে বলে জানান গবেষণা ইকোফিস প্রকল্পের গবেষণা কর্মকর্তা উত্তম কুমার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা মৎস্য অফিসার; দেলোয়ার হোসেন, উপসহকারী মৎস্যকর্মকর্তা শহিদুল আলম,বাহারছড়া বিসিজি আউটপোস্টের কন্টিনজেন কমান্ডার;আব্দু রহমান।ইকোফিশ সাইন্টিফিক অফিসার;উত্তম কুমার, ছড়া মৎস্য কমিটির সভাপতি জাহেদুল আলম,বাহারছড়া নৌকা ঘাটের সভাপতি বেলাল উদ্দিনসহ আরো অনেকে।