স্পেনে ঢাকা ফ্রুতাসের ১৬ বছর পূর্তি উদযাপন

প্রকাশিত: ৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ, |                          

 

সিদ্দিকুর রাহমান, স্পেন থেকেঃ
স্পেনের মাদ্রিদে বাংলাদেশি মালিকানাধীন ঢাকা ফ্রুতাসের (ফলমূলের দোকান) প্রায় তিনশত কর্মরত সদস্যকে নিয়ে ১৮ জুন শনিবার বাঙ্গালী অধ্যুষিত লাভাপিয়েস এলাকার স্থানীয় একটি হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে ভিন্নধর্মী এক অনুষ্ঠান। আলোচনা, নিজেদের মধ্যে পরামর্শ আদান-প্রদানের পাশাপাশি পুরস্কৃত করা হয় র‍্যাফল ড্র তে অংশগ্রহণ কারী বিজয়ী কর্মীদের।
ঢাকা ফ্রুতাসের স্বত্বাধিকারী আল আমিন মিয়া’র সভাপতিত্বে ও সাঈদ আনোয়ার এবং তামিম ইকবালের যৌথ সঞ্চালনায় অনুস্টিত মিলনমেলা ও প্রীতিভোজে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের মহামান্য রাস্ট্রদূত সারোয়ার মাহমুদ এন ডি সি, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দূতাবাসের দূতালয় প্রধান আব্দুর রউফ মন্ডল, বায়তুল মুকাররম মসজিদের সভাপতি খুরশেদ আলম মজুমদার, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ইন স্পেনের সভাপতি আল মামুন, সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন মনির, কাজী এনায়েতুল করিম তারেক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সুন্দর,স্পেন বি এন পির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুর হোসেন পাটোয়ারী, গ্রেটার ঢাকা এসোসিয়েশন ইন স্পেনের সাধারণ সম্পাদক মিল্টন ভূইয়া কচি, ঢাকা জেলা এসোসিয়েশন ইন স্পেনের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম মাসুদুর রহমান, বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা এসোসিয়েশন ইন স্পেনের সাবেক সভাপতি হেমায়েত খান, কমিউনিটি নেতা এস এম আহমেদ মনির,সাইফুল মুন্সী ইকবাল, শাহ আলম, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ইন স্পেনের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল খান সহ আরও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন প্রবাসীদের কাছে আলামিন মিয়া সাফল্যের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
মাদ্রিদে একসময় একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল ফলের ব্যাবসায় চীনাদের। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে অনেকে এই ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু দমে যাননি আল আমিন মিয়া। শ্রম, একাগ্রতা, সততা ও জীবন বদলের কঠিন শপথ নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যেতে থাকেন। ঢাকা ফ্রুতাস ব্যবসায় স্থায়িত্ব খুঁজে পাওয়ার পাশাপাশি স্পেনের মন্দার বাজারে কর্মসংস্থানের জন্য বাংলাদেশিদের নতুন পথ দে​খিয়েছন।
ঢাকা ফ্রুতাসের সদস্যদের মাঝে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে মূলত এ অনুস্টানের আয়োজন করা হয়।অনুস্টানে বাংলাদেশি ছাড়াও এতে মরক্কো, আলজেরিয়ানসহ, স্পেনিশ সদস্যরাও অংশ নেন।
প্রবাস জীবনে কীভাবে প্রতিটি মূল্যবান সময়কে কাজে লাগিয়ে কোম্পানির সফলতা, মান বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে নিজেদের উন্নতি করা যায়, সে নিয়ে আলোচনা করেন তারা। নিজেদের উন্নয়নে সবাই একটি পরিবারের মতো আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বক্তারা।
অনুষ্ঠান শেষে র‍্যাফেল ড্রয়ের মাধ্যমে বিজয়ীদের মধ্যে প্রথম পাঁচ জনকে আগামী রমযানে উমরাহে পাঠানো হবে কোম্পানির পক্ষ থেকে।এবং বিজয়ীদের মোবাইল ফোন ও ট্যাব দেওয়া হয়। পরিশেষে নৈশভোজের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি হয়।