জুনায়েদ বাবুনগরীকে শেষবার দেখতে মাদরাসা প্রাঙ্গণে ছাত্র-ভক্তরা

প্রকাশিত: ২:৩২ অপরাহ্ণ, |                          

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী মারা যাওয়ার খবর শুনে তার ছাত্র ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা শেষবার দেখতে হাটহাজারী মাদরাসার প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়েছেন। জুনায়েদ বাবুনগরীর নামাজে জানাজা ও দাফনে অংশগ্রহণ করতে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুর থেকে হাজার হাজার মানুষ হাটহাজারী মাদরাসায় আসতে থাকেন।

জানা গেছে, বর্তমানে আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর মরদেহ গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে রাত ৮টার দিকে তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল হাটহাজারী মাদরাসা প্রাঙ্গণে নেয়া হবে। দাফন চট্টগ্রামের মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার কবরস্থানে হবে। রাত ১১ টায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে তাকে সেখানে দাফন করা হবে।

আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী চট্টগ্রামের দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষা পরিচালক ছিলেন।

জুনায়েদ বাবুনগরীর মৃত্যুতে দেশের কওমি মাদরাসা ও আলেম সমাজের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অনুসারীরা।

হাটহাজারী মাদরাসার কয়েকজন ছাত্র জানান, মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর সারাদেশ থেকে আসতে থাকেন তার ভক্ত অনুরাগীরা। অসংখ্য ছাত্র ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা তাকে শেষবারের মতো দেখতে উপস্থিত হয়েছেন মাদরাসা প্রাঙ্গণে।

৬৭ বছর বয়সী জুনায়েদ বাবুনগরী গত ৮ আগস্ট হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে গিয়ে কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন।

১৯৫৩ সালের ৮ অক্টোবর জুনায়েদ বাবুনগরী চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বাবুনগর গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রেখে গেছেন।কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আমীরের পাশাপাশি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার, যেটি দেশ-বিদেশে ‘হাটাহাজারী মাদরাসা’ হিসেবে পরিচিত, প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

চট্টগ্রাম নগরীর সেন্টার ফর স্পেশালাইজড কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ (সিএসসিআর) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সিএসসিআর এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আমজাদ হোসেন বলেন, বাবুনগরী ফুসফুসের রোগসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন। তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।