ক্রেতাশূন্য শপিংমল

প্রকাশিত: ৪:১৪ অপরাহ্ণ, |                          

টানা ১৯ দিন চলার পর খুলে দেয়া হয়েছে দোকানপাট ও শপিংমল। কিন্তু খোলার প্রথম দিন বুধবার (১১ আগস্ট) তেমন ক্রেতাই ছিল না। অনেকটা অলস সময় পার করতে হয়েছে তাদের।

রাজধানীর বসুন্ধারা শপিংমল, যমুনা ফিউচার পার্ক, নিউমার্কেট, নূরজাহান, চাঁদনী চক, গাউছিয়া, মোতালেব প্লাজা ও মিরপুরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দীর্ঘদিন পর দোকান খুললেও বেচা-বিক্রি একদম নেই। লকডাউন তুলে দিলেও করোনার ভয়ে মানুষ এখন খুব কমই দোকানপাটে আসে। তাছাড়া করোনার এই দেড় বছরে মানুষের আয় রোজগারও কমে গেছে। তাই অতিপ্রয়োজনীয় কেনাকাটার বাইরে শপিংমলে আসে না।

বিপণিবিতানেগুলো ঘুরে দেখা গেছে, এক দুজন করে ক্রেতা আসছেন, তবে তারা কিনছেন কম। অনেকে আবার শুধু ঘোরার জন্য এসেছেন।

বিক্রেতারা বলছেন, প্রথম দিন হওয়ায় ক্রেতা কম। আস্তে আস্তে ক্রেতা বাড়বে। বেচা-বিক্রি কম হওয়ায় তারা অখুশি নন, কারণ তারা বলছেন দীর্ঘ দিন দোকানপাট বন্ধ থাকায় তাদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।

গাউছিয়া মার্কেটের ব্যবসায়ী মঞ্জুর আলী বলেন, দীর্ঘদিন পর দোকান খুলেছি, মার্কেটে ক্রেতা সমাগম নেই বললেই চলে। যারাও আসছেন তারা কিনছেন কম। বলা যায় এক ধরনের অলস সময় পার করছি।

আরেক ব্যবসায়ী সুমন শেখ বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদের ব্যবসা একদম শেষ। অনেক দিন পর দোকান খুললেও বেচা-বিক্রির কোনও লক্ষ্মণ নেই। এই লকডাউনে তো আর দোকান ভাড়া মাফ করা হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই বেচা-বিক্রি না হলেও বসে আছি।

বসুন্ধরা শপিং মলের কাপড়ের দোকান সোলাসট্রার সেলসম্যান শংকর বলেন, অনেকদিন পর দোকান খুলেছি। ক্রেতার তেমন দেখা নেই। কিছু মানুষ আসছেন ঘুরতে, তারা কিছুই কেনাকাটা করছেন না।

বসুন্ধারা সিটিতে দেখা হয় ব্যাংক কর্মকর্তা মাহমুদ নোমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, করোনার ভয়ে খুব বেশি বের হই না। মোবাইলটা নষ্ট হয়ে আছে। ঠিক করাতে এসেছি। ঠিক করেই বাসায় চলে যাব।