ফোনে স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করে প্রেমিকা ও ইমাম

প্রকাশিত: ৭:৩৮ পূর্বাহ্ণ, মে ২৭, ২০২১ | আপডেট: ৭:৩৮:পূর্বাহ্ণ, মে ২৭, ২০২১

আজহারুলকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমান তার এক ছাত্রের নামে একটি মোবাইল ফোন ও সিম কিনে আসমা আক্তারকে দেন। ওই ফোনে হত্যা সম্পর্কে আলোচনা করতেন তারা।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা র‍্যাব সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, রোজা শুরুর ৭ দিন আগে ইমাম ও আসমা আক্তার আজহারুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৯ মে নিজের শয়নকক্ষে আজহারুলকে হত্যা করেন ইমাম আব্দুর রহমান। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমানকে (৫৪)। দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে নিহত আজাহারুলের স্ত্রী আসমা আক্তারকে (২৪)।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধারের পর বিকালে আব্দুল্লাহপুর থেকে আসমাকে গ্রেপতার করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে র‍্যাব। এরপরই আসমা র‍্যাবের কাছে পরকীয়া সম্পর্ক ও হত্যার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে আসমা আক্তারকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

এদিকে এদিন আজহারুল হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আসমা আক্তার ও মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমানের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অনুজ কুমার সরকার। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম নিভানা খায়ের জেসী তাদের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মঙ্গলবার রাজধানীর দক্ষিণখান সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে আজহারুল ইসলাম (৪০) নামে এক গার্মেন্টকর্মীর ৭ টুকরো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় র‌্যাব মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, বাসায় আসা-যাওয়ার সূত্র ধরে আজহারুলের স্ত্রীর সঙ্গে আব্দুর রহমানের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে ২০ মে মসজিদে ইমামের কক্ষে গিয়ে খুন হন তিনি। পরে তার লাশ গুম করতে সাত টুকরা করে সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখা হয়।

আব্দুর রহমানকে গ্রেফতারের বিষয়ে মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে র‌্যাব।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল মোত্তাকীম জানান, সোমবার রাতে র‌্যাবের গোয়েন্দা দল খবর পায় সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সিঁড়িতে রক্তের দাগ এবং সেপটিক ট্যাংক থেকে তীব্র গন্ধ ছড়াচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১ ছায়া তদন্ত শুরু করে। তখন জানা যায়, আজহারুল নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনার তদন্তের একপর্যায়ে দক্ষিণখানের মাদ্রাসাতুর রহমান আল আরাবিয়া থেকে আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ৩টি চাকু ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে তার দে