সিলেট ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:০৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২৪
১৮ শতকের শেষ দিকে আসাম অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পেও যে বাড়িঘরের ধ্বংস ডাকতে পারেনি সে স্থাপনার নাম আসাম প্যাটার্ন।কাঠের বর্গা-নলের সাথে চুন সুরকির প্রলেপে গড়ে উঠতো তৎকালীন ঘরামীর হাতের সুনিপুণ কারুকাজের আসাম প্যাটার্নের ঘরবাড়ি। যা সিলেটের ভাষা সংস্কৃতির মতো একান্ত ব্যক্তিগত এমন কি একান্ত স্বতন্ত্র।শুধু সে কথায় আটকে যাওয়া নয়,এসব আসাম প্যাটার্নের দরজা-জানালা,বহুতল চাল, কবুতরের খুপও ছিলো আলাদা বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জল। আর সেই পুরাতন কে নতুন নেত্রে নিতে গতকাল ঘুরে এলাম আগুনে পুড়েও যে ভবন গলা বাড়িয়ে ডেকেছিলো শত পার করা প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত প্রিয় এম সি কলেজের ছত্রাবাস।বেড়িয়ে এলাম যুগ পার করা ছাত্রজীবনের সংগ্রামী ক্যাম্পাস।লাইব্রেরি,কলা ভবন,প্রিন্সিপাল স্যারের বাংলো।এমন অন্য আরও কতো।ফুরফুরে বাতাসে মনজ মাঠে আনন্দের হিন্দুল দোল দিলেও বেদনায় ক্রন্দন দিয়েছে চোখে।কারণ একটাই-যে কলেজে ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছিলো আসাম প্যাটার্নের বাংলা ও সমাজবিজ্ঞানের ভবন কলেজ মাঠের গ্যালারি,প্রিন্সিপাল স্যারের বাংলো তা আজ পড়ো-পড়ো।ভবনগুলো আজ ইতিহাস,ঐতিহ্য হারানোর ম্যারাথন দৌড়ে ঘর্মাক্ত-কাহিল!যেগুলো শুধুমাত্র পুরাতত্ত্বের সম্পদ নামেই শুধু ডাকা যায়।বিশেষজ্ঞ এনে নির্মাণ করা যায় শত পার করা ভবনের রেপ্লিকা।সংশ্লিষ্টবৃন্দ এমন কাজগুলোতে যত্নের মনযোগে মাতবেন-এ প্রত্যাশা রাখছি বড়ো বিদ্যাপীঠের পুরাতন ছাত্র।
লেখক:সাংবাদিক ও কলামিষ্ঠ।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি –
তাইজুল ইসলাম ফয়েজ।
প্রধান সম্পাদক – আফরোজ খান
বার্তা সম্পাদক : মোঃ আলমগীর আলম
অফিস : আল মারজান শপিং সেন্টার ( ৩য় তলা), জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন- 01995-019920 (WhatsApp+Call)
Call +88 0969-6319920
ইমেইল – news.snworld@gmail.com