টেকনাফের বাহারছড়া এলজিইডি রোডের বেহাল দশা, দুর্ভোগে ৭০ হাজার জনতা

Jaber Jaber

Ahmed

প্রকাশিত: ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ, |                          

টেকনাফের বাহারছড়া এলজিইডি রোডের বেহাল দশা, দুর্ভোগে ৭০ হাজার জনতা

আজিজ উল্লাহ, টেকনাফ

টেকনাফের বাহারছড়া ভেতরের এলজিইডি’র সড়কের বেহাল দশা।দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাগুলো খানাখন্দে ভরা ও ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাই চলাচল করতে গিয়ে বাহারছড়ার ৭০ হাজারের অধিক জনগণসহ প্রতিনিয়িত পথচারী ও যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। মূলত ২০১৬ সালের আগে স্বপ্নের মেরিনড্রাইভ নির্মাণের সময়ে পূর্বের পাহাড় থেকে মাটি টানার সময়ে এলজিইডির রাস্তা হয়ে মাটির টনার ভারিযান চলাচলে রাস্তায় চাপ পড়ার পাশাপাশি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে বিশেষ করে শামলাপুর থেকে নোয়াখালী পাড়া অব্দি প্রায় ২৫ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে।

শুধু তা নয় ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন ষ্টেটে সেনাবাহিনী কর্তৃক সহিংসতার শিকার হয়ে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে সেই সময় তাদের ত্রাণ সহায়তায় বিভিন্ন সংস্থাসহ দেশের শিল্পপতি রাজনৈতিক দলের নেতা ত্রাণভর্তি ভারি পরিবহন নিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণে এই রাস্তা ব্যবহার করে আসছে তাই পুরানো জরাজীর্ণ রাস্তার আরো জীর্ণ শীর্ণ হয়ে অকেজো হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, জরাজীর্ণ রাস্তায় বর্ষার অঝোর বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থান দেবে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।এমনকি সড়কের পিচ, সুরকি, ইট উঠে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।বৃষ্টি হলেই ওইসব গর্তে পানি আটকে থাকে। এতে যানবাহন দুর্ঘটনায় কবলিত হয়। বিশেষ করে বাহারছড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে।এ রাস্তা দিয়ে তাদের চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তা কদমে কদমে গর্তের কারণে লাইসেন্সহীন নতুন অটোরিকশা বা মিনি টমটমের চালকরা রাস্তার সাইড-বেসাইডে গাড়ি চালার কারণে নিয়মিত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।অসুস্থ রোগীদের বিশেষ অসুবিধা পোহাতে হচ্ছে।বিশেষ করে কোমর ব্যথা রোগীরা টমটমের উঁচু-নিচু রাস্তার আছাড়ে কোমর ব্যথা হয়ে যাচ্ছে।

জাহানারা বেগম নামের এক পথচারী বলেন, “কয়েকদিন আগে শিলখালী এলজিইডি রোডে তার মাত্র ১মাসের দুধের শিশুসহ টমটম দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে রাস্তার চারদিকে গর্ত হুট করে টমটম উল্টে গেয়ে পা মুচড়ে যায় শিশুকে বুকে আগলিয়ে না রাখে দুধের শিশুটি মরে যেত আল্লাহ বাঁচিয়েছে”।

শামলাপুর হাইস্কুলের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আরাফাত বলেন, ‘রাস্তার বেহাল দশায় চলাচল করতে খুবই অসুবিধা হয় সংস্থার দরকার’।

দক্ষিণ শিলখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাস্টার এবাদুল হক মামুন বলেন, ‘রাস্তায় গর্ত থাকায় মোটরসাইকেল চালাতে হিমশিম খেতে হয়।জরুরি ভিত্তিতে রাস্তার সংস্কার করা প্রয়োজন।বর্ষার সময় ছোট ছোট গর্তে পানি জমে থাকে শীতকালে ধুলো উড়ে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে দূষিত হচ্ছে এলাকা’।

অটো রিকশাচালক রুহুল আমিন জানান, “রাস্তায় গর্তের কারণে ঠিকমতো গাড়ি চালাতে পারেন না”।

সিএনজিচালক মাহমুদুল করিম জানান, রাস্তায় ছোট-বড় গর্তের জন্য যাত্রীরা আরামে গাড়িতে বসতে পারে না। তারপরও ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চালাতে হয়’।

টেকনাফ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী অফিস সহকারী টিটু জানান, শামলাপুর থেকে টেকনাফ সদরের এলজিইডি রোডের দুটি পার্ট রয়েছে একটি অংশের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরেকটি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।

বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মৌলভী আজিজ উদ্দিন জানান, ‘জরাজীর্ণ রাস্তাগুলোর টেন্ডার প্রক্রিয়া এক অংশের ১৬ কিলোমিটার টেন্ডার হয়েছে কিন্তু বাহারছড়ার রাস্তার খুব বাজে অবস্থা বাকি অংশের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দ্রুত সময়ে সংস্করণ করা দরকার।’ এই গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্তময় রাস্তা যত সম্ভব দ্রুত সময়ে কাজ শুরু করার দাবি জানাচ্ছেন।