লাশ ছাড়া কবর দাবি প্রতারণা ও অনৈসলামিক: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৪:২৬ অপরাহ্ণ, |                          

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কারো লাশ না থাকা সত্ত্বেও সে স্থানকে তার কবর বলে চালিয়ে দেয়া যেমন জনগণের সাথে প্রতারণা একইসাথে অত্যন্ত অনৈসলামিক কাজ, যেটি বিএনপি করছে। রোববার ভারত সফরের আগে ঢাকায় সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার কবর নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে সংসদেও শনিবার আলোচনা হয়েছে। কারো কবর না থাকলেও তার কবর বলে চালিয়ে দেয়া জনগণের সাথে প্রতারণা এবং অনৈসলামিক, যা বিএনপি করছে। জিয়াউর রহমানের লাশ কেউ দেখে নাই এবং তখনকার পত্রিকার কাটিং আমার মোবাইল ফোনেই আছে এবং পত্রিকায় লিখেছে কেউ জিয়ার লাশ দেখে নাই। তারেক রহমান লাশ দেখার জন্য খুব মিনতি করেছিল, তাকে দেখানো হয় নাই, খালেদা জিয়াও দেখেন নাই, কেউ দেখে নাই। রাঙ্গুনিয়ায় যে প্রথম কবর দেয়া হয়েছিল বলা হচ্ছে, সেই কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সাক্ষী তখনকার চেয়ারম্যান জহির এখনো বেঁচে আছেন।

তিনি বলেছেন, লাশ তোলা হয়েছিল, কিন্তু আমরা জিয়ার লাশ দেখিনি। আসলে তারা পুরোপুরি মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করছে। এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে ড. হাছান বলেন, জনগণই এটির বিচার করবে, দ্বিতীয়ত তারা যেহেতু দাবি করছে তারা প্রমাণ করুক। সে পথে তারা হাঁটে না বরং আগে বিশেষ বিশেষ দিনে তারা সেখানে যেতো এখন প্রতি সপ্তাহে কারণে-অকারণে যায় এবং মাঝে মধ্যে মারামারি করে। সরকারের বিরুদ্ধে গণঐক্য গড়তে বিএনপি’র আহ্বানের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের ঐক্য তো সবসময় জঙ্গি-জামাত-মৌলবাদী গোষ্ঠীর সাথে যারা দেশটাকে তালেবানী রাষ্ট্র বানাতে চায়। তাদের এই ঐক্য সবসময়ই ছিল, এখনো আছে। এতে কোনো রাখঢাক নাই। জাফরুল্লাহ সাহেব তালেবানদের কাবুল দখলের পর যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটিই হচ্ছে বিএনপি’র অন্তর্নিহিত বক্তব্য। এসময় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আমরা বিদেশি চ্যানেল ডাউনলিংকের অনুমোদনপ্রাপ্ত ডিস্ট্রিবিউটর, ক্যাবল অপারেটর, ডিটিএইচ সেবা প্রদানকারীদের নিয়ে বৈঠক করেছিলাম এবং ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে পয়লা অক্টোবর থেকে কেউ যদি ক্লিন ফিড না চালায় এবং ক্যাবল অপারেটিং লাইসেন্স অনুযায়ী নিয়ম-কানুন না মানে তবে আমরা আইন প্রয়োগ করবো বলে জানিয়েছিলাম। যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান ডাউনলিংকের অনুমোদন পেয়েছে এবং ক্লিন ফিড চালাচ্ছে না, দেশের আইন মানা তাদের দায়। সুতরাং তারা যদি আইন না মানে সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া, দেশি শিল্প এবং শিল্পীদের সুরক্ষার জন্য বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন বানালে শিল্পী প্রতি দুই লাখ টাকা এবং কোনো টেলিভিশন চ্যানেল যদি সেই বিজ্ঞাপন প্রচার করে সেক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দেয়ার পরিপত্র জারি হয়েছে এবং আমরা সেটিও প্রয়োগ করতে যাচ্ছি, উল্লেখ করেন তিনি। নয়াদিল্লী সফরকালে সেখানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র সচিবের সাথে বৈঠক হবে বলে জানান মন্ত্রী। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার তার দেশে ফেরার কথা।