‘বিশ্ববিদ্যালয় খুললেই আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে’

Jaber Jaber

Ahmed

প্রকাশিত: ৪:১০ অপরাহ্ণ, |                          

করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন কিছুটা উন্নতির দিকে যাওয়ায় আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ধাপে ধাপে খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে একটি গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতা তৈরির ষড়যন্ত্রের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।

দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশে ক্ষমতার পরিবর্তনে এখানে একটি গোষ্ঠী উচ্ছ্বসিত বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

আফগানিস্তানের নাম উল্লেখ না করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র বিদ্যমান। এখনো বাংলার আকাশে ষড়যন্ত্রের গন্ধ। সতর্ক থাকতে হবে। সামনের দিনে আরও চ্যালেঞ্জ আছে। দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর একটি গোষ্ঠী উচ্ছ্বসিত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর এখানে যারা উল্লসিত তাদের মতলব কী, উদ্দেশ্য কী- তা বুঝতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি চলছে। ফলে অনেক অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। এবার মাঠে নামবে, বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরেই তারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। ষড়যন্ত্রের প্রস্তুতি নিচ্ছে, শেখ হাসিনার সরকার হটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ছাত্রলীগকে এ বিষয়ে সতর্ক ও সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। ছাত্রলীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেরা নিজেদের শত্রু হবেন না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সামাজিক আন্দোলনের কোটা সংস্কার, নিরাপদ সড়ক এসব আন্দোলন তো আমরা দেখেছি। আন্দোলনের নামে অরাজকতা আমরা দেখেছি। সেই প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে অস্থিতিশীলতার প্রস্তুতিও তারা নিচ্ছে। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকে, ষড়যন্ত্রের স্রোতকে আরও তীব্র করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কাজেই ছাত্রলীগকে আজ আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মেধা সৎ ছাত্র রাজনীতি আজকের বাস্তবতা। প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন করে মাঠে নামতে হবে।

এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলামকে এত প্রশ্ন করি, তিনি জবাব দেন না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মোশতাকের প্রধান সেনাপতি কে ছিল? বঙ্গবন্ধুর খুনিদের কে বিদেশে পাঠিয়েছিল? কে খুনিদের বিদেশে চাকরি, পুরস্কৃত করেছিল? উত্তর দিতে পারবেন না। এ জন্য আগস্ট মাস এলে তাদের গাত্র জ্বালা করে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার তদন্তে কেন স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে তদন্ত করতে দিল না? কেন এফবিআইকে আসতে দিল না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ বক্তব্য দেন।