ঢাকায় চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ, বহু আহত

প্রকাশিত: ৫:৩৪ অপরাহ্ণ, |                          

ঢাকার শেরে বাংলা নগরে চন্দ্রিমা উদ্যান ও সংলগ্ন এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।

হঠাৎ করে এ সংঘর্ষের জন্য পুলিশ ও বিএনপি পরস্পরকে দায়ী করেছে। পুলিশ বলছে বিএনপি কর্মীরা অতর্কিত হামলা করেছে পুলিশের ওপর আর বিএনপি বলছে পুলিশ বিনা উস্কানিতে এ হামলা চালিয়েছে।

সংঘর্ষের সময় বিএনপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে জবাবে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করেছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানে আলম মুন্সী।

তিনি বলেন, “সবকিছু স্বাভাবিক ছিলো। বিএনপির একটি অংশ সেখানে আসার পর আরেকটি অংশ সেই কর্মসূচি ভণ্ডুল করতে পুলিশের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। আমরা প্রথমে বুঝে উঠতে পারিনি। তারা শুরুতেই খামাখা বৃষ্টির মতো ইট নিক্ষেপ শুরু করে। আমাদের বহু পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পরে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি”।

তবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির ঘটনার পর ওই এলাকায় উপস্থিত হন এবং সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। তিনি ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ী করেন।

তিনি বলেন, “সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে অগণতান্ত্রিক কায়দায় পুলিশ আমাদের কর্মসূচি ভণ্ডুল করতে এ হামলা করেছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে এবং অনেকেই আহত হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই”।

এদিকে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে যে, বিএনপির সদ্য গঠিত মহানগর কমিটির তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে সকাল সাড়ে দশটার দিকে চন্দ্রিমা উদ্যানে যাচ্ছিলেন।

ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের নেতৃত্বে মিছিলটি চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকায় মিছিল সহ ঢোকার মুখেই পুলিশ বাধা দেয়।

এ সময় দু পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে পরিস্থিতি ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং বিএনপি কর্মীদের মধ্য থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ মারমুখী হয়ে ওঠে।

এক পর্যায়ে বিএনপি কর্মীরা চন্দ্রিমা উদ্যানের ভেতরে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে।

আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এ সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত বিএনপি কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। পুলিশেরও অনেকে আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন পুলিশের কর্মকর্তারা।

পুলিশ কর্মকর্তা জানে আলম মুন্সী জানিয়েছেন ঘটনার পর বিএনপি কর্মীরা একেক দিকে চলে গেছেন এবং আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

তবে এ সংঘর্ষের জন্য মামলা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।