চলছে গণপরিবহন, খুলেছে দোকান-শপিংমল

প্রকাশিত: ৪:৪০ অপরাহ্ণ, |                          

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে টানা ১৪ দিন পর কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। এর ফলে সারাদেশে বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। কোনো ধরনের বিধিনিষেধ ছাড়াই খুলেছে দোকানপাট-শপিংমল।

করোনা সংক্রমণ কমাতে কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ
কয়েকধাপে বাড়ানো হয় যা গতকাল বুধবার পর্যন্ত ছিলো। কিন্তু ঈদের কারণে এর মেয়াদ না বাড়িয়ে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঈদুল আজহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে বিধিনিষেধ শিথিল করা হল। এ সময় সর্বাবস্থায় জনসাধারণকে সতর্ক থাকা এবং মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়।

তবে ঈদের একদিন পর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ফের সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হবে। এতে আবার আগের মতোই সারাদেশে গণপরিবহন ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে।

পরিবহন ও শপিংমল ব্যবসায়ীরা বলছেন, পরিবহন ও দোকানপাটে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক কাজে নিয়োজিত। ঈদের আগ মুহূর্তে কয়েকদিন যানবাহন ও দোকানপাট খোলার অনুমতি দেয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরছে পরিবহন শ্রমিকদের। শপিংমল ও পরিবহনখাতে ব্যবসার প্রধান সময় ঈদের আগে ও পরে। এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন শিথিল হওয়ায় কর্মহীনরা কিছু উপার্জন করতে পারবেন।

এর আগে রোজার ঈদের সময় বিধিনিষেধ জারি করেও গ্রামমুখী মানুষের ঢল থামানো যায়নি। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা, ফেরিতে গাদাগাদি করে কোটি মানুষ শহর ছাড়েন। এতে করোনা ঝুঁকি আরো বেড়েছিল। এবার গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি এসেছে।

গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিলেও করোনা সংক্রমণ কমাতে বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এক্ষেত্রে যাত্রীকে ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া গুণতে হবে। বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে যাত্রীসহ পরিবহন শ্রমিকদের। রাখতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। লঞ্চের ক্ষেত্রে ডেকের যাত্রীদের মার্কিং অনুযায়ী বসতে হবে। এই আটদিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিকভাবেই চলবে সরকারি-বেসরকারি অফিস।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অপর নির্দেশনায় বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণ বিস্তার রোধে এ সময়ে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এ সময়ে পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্রে গমন ও জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান যেমন- বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান (ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পরিহার করতে হবে।