‘সাংবাদিক মকসুদ ছিলেন সিলেটের একজন উজ্বল নক্ষত্র’

প্রকাশিত: ৮:০৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

‘সাংবাদিক মকসুদ ছিলেন সিলেটের একজন উজ্বল নক্ষত্র’

আফরোজ খান : মকসুদ ভাই আমার প্রিয় একজন মানুষ। উনার সাথে সম্পর্ক শুরু হয় ২০১১ সাল থেকে। অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট (ওজাস) থেকে, আমরা দুজনই কার্যকরী কমিটিতে ছিলাম। সেই হিসাবে আমাদের সম্পর্ক আরো গভীর হয়। সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব গঠিত হওয়ার পরেও সম্পর্ক আরো ভালো হয়। সব সময় আমাকে বিভিন্ন প্রোগ্রামে সঙ্গে নিতেন। এমনকি উনার ছোট বোনের বাড়ি গোলাপগঞ্জে দুইবার নিয়ে গেছেন। সেখানে খাওয়া দাওয়া করে আমরা আসছি। মকসুদ ভাইর বড় গুন ছিল উনার এলাকার মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন। দুই বছর আগে উনার এলাকার প্রবল ঝড় তুফান ও শিলা বৃষ্টিতে এলাকার অনেকের টিনের চাল ফুটো হয়ে যায়। সেই সময় আমাকে ফোন করে বলেছেন আফরোজ তুমি তো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষ কে নিজের হউক বা অন্যের হউক মানুষকে সাহায্য করে থাকো। আমার এলাকার কিছু মানুষের টিনের চাল নষ্ট হয়ে গেছে তাদেরকে টিন দেওয়ার ব্যবস্থা করে দাও। পরের দিন আমি উনার বাড়িতে যাই, তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে আমাকে এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পরিচয় করিয়ে দেন ও আমরা পরিদর্শন করে একটা তালিকা তৈরি করি। তখন আমি সাথে সাথে আমাদের ক্লাবের প্রবাসী সদস্য সাংবাদিক জাবেদ ভাইকে বিষয় টা অবহিত করি। ৪/৫ দিনের ভিতর জাবেদ ভাই আমার একাউন্টে টাকা পাঠান আমি প্রায় ১ লাখ টাকার টিন নিয়ে মকসুদ ভাইর বাড়িতে নিয়ে যাই ক্লাবের কয়েকজন সাথে ছিলেন। মকসুদ ভাই সবাইকে ভালোবাসতেন কখনো অহংকার হিংসা নিন্দা এগুলো করতে দেখিনি। আল্লাহ আমাদের মকসুদ ভাই কে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। আমীন।

উল্লেখ্য, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস’র সিলেট ব্যুরো প্রধান মকসুদ আহমদ মকসুদ আর নেই। (ইন্নালিল্লাহি…..রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট ) ২০২৪ইং দিবাগত রাত ৩ টায় সিলেট নগরীর পাঠানটুলার জালালাবাদ রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ এলাকায় সিলেট-সুনামগন্জ সড়কে এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। সেই সময় গুরুতর আহত হয়েছেন গালিব আহমদ নামে এক কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা।

লেখক, আফরোজ খান, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ