বাস থেকে নারীকে ছুড়ে ফেললেন হেলপার

প্রকাশিত: ২:৩১ অপরাহ্ণ, |                          

কতটা নির্দয় হলে একজন মধ্যবয়সী নারীকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া যায়, এমন প্রশ্নের উত্তর হয়তো কারোই জানা নেই। ঠিক নারী দিবসের একদিন আগেই ঘটেছে এমন ঘটনা।

ভাড়া নিয়ে তর্কের জেরে এন মল্লিক পরিবহনের ঢাকা (মেট্রো-ব-১৩-১৫২১) এসি বাস থেকে এক নারীকে ধাক্কা ফেলে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সেটা খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।

রোববার (৭ মার্চ) বিকেলে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার রোহিতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী রোববার রাতে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এ ঘটনার একটি ভিডিও শেয়ার করেন। ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা আছে ‘ভাড়া নিয়ে তর্কের জেরে এন মল্লিক পরিবহনের এসি বাস থেকে এই নারীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন!’

এ ঘটনা নিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, এটি মল্লিক পরিবহনের একটি বাস। এই বাসটি গুলিস্তান থেকে নবাবগঞ্জ সড়কে চলাচল করে। এ ঘটনার ভিডিওতে আশপাশের যে মার্কেটগুলো দেখা যাচ্ছে সেটা রোহিতপুর এলাকার।

এই ঘটনাটি কবে ঘটেছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ঘটনাটি রোববার বিকালে ঘটেছে। তবে যে নারী যাত্রীকে বাস থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে তার পরিচয় সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেননি তিনি। বলেন, আমরা তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারিনি।

কোনো পদক্ষেপ নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে আজ সোমবার সকালে বিআরটিএকে বলেছি। যেহেতু গাড়ির নম্বর স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, তাই আমরা গাড়ির নম্বরসহ বিআরটিএর অভিযোগ সেলে আমরা জানিয়েছি।

ভিডিওতে দেখা যায়, এন মল্লিক পরিবহনের একটি বাস থেকে হেলপার এক নারীকে টেনে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেন। এরপর বাসটি সামনে চলে যায়। ওই নারীকে ফেলে দেয়ার পর তিনি প্রচুর কান্না করছিলেন বলে ভিডিওতে দেখা যায়।

ভিডিওর এক পর্যায়ে ওই বাসের নম্বরটি স্পষ্ট দেখা যায়। গাড়ির নম্বরটি হলো- ঢাকা মেট্রো-ব-১৩-১৫২১।

এর আগে ২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে হানিফ এন্টারপ্রাইজের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়েছিলেন সাইদুর। ২৩ জুলাই মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার ভবের চর এলাকায় নদীতে তার লাশ পাওয়া যায়।

চট্টগ্রামের বাসা থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর এলাকায় ‘বাথরুম’ পেয়েছে বলে যানজটে থেমে থাকা বাস থেকে নেমেছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুর রহমান। এর মধ্যেই যানজট কিছুটা ছাড়লে বাস এগোতে থাকে। সাইদুর দৌড়ে বাসে উঠতে গিয়ে নাকে-মুখে আঘাত পান। রক্ত বের হতে থাকে। আহত যাত্রীকে চিকিৎসা দেয়ার বদলে বাসটির চালক, সুপারভাইজার ও চালকের সহকারী মিলে একটি সেতু থেকে নদীতে ফেলে দেন।