‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্তি টাইগারদের

প্রকাশিত: ১:৩২ অপরাহ্ণ, |                          

সফরে খেলা শুধু তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি। অন্য সময় হলে সবমিলিয়ে সফরটি হতো সর্বোচ্চ ১৫ দিনের। কিন্তু এবার করোনা বাস্তবতায় সেই একই সফরের দৈর্ঘ্য বেড়ে হয়েছে তিনগুণ। প্রায় দেড় মাসের সফরে নিউজিল্যান্ড খেলতে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোরে ক্রাইস্টচার্চ গিয়ে পৌঁছেছে টাইগাররা। করোনাভাইরাসের কারণে নিউজিল্যান্ড পৌঁছেই সোজা রুম কোয়ারেন্টাইনে প্রবেশ করতে হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। পাক্কা দুই দিন একই ঘরে ‘বন্দি’ থাকার পর, অবশেষে আজ (শুক্রবার) বাইরে বের হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ, সৌম্য সরকাররা।

ক্রাইস্টচার্চে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের বর্তমান ঠিকানা ‘শ্যাডো বাই পার্ক হোটেল।’ প্রথম দুই দিন যে যার রুমেই আবদ্ধ ছিলেন। করোনা পরীক্ষা করে সবার নেগেটিভ আসায় আজ থেকে ৩০-৪০ মিনিট করে হাঁটার সুযোগ দেয়া হয়েছে। পুরোপুরি মুক্তভাবে চলাফেরা করতে অপেক্ষা করতে হবে পাক্কা ১৪ দিন।

দুইদিন ঘর বন্দি থাকার পর বাইরে বের হওয়ার পর সতেজ অনুভূতি টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদের। সতীর্থ খেলোয়াড় সৌম্য সরকার, শেখ মেহেদি হাসান, সাইফউদ্দিনদের সঙ্গে দেখাও করতে পেরেছেন আজ। সবমিলিয়ে আলাদা এক অনুভূতির কথাই বলেছেন তাসকিন।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সরবরাহকৃত ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, ‘এরকম আইসোলেশন একটা আলাদা অভিজ্ঞতা। আগে কখনও এভাবে সময় কাটানো হয়নি। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর আমরা ৩০-৪০ মিনিটের জন্য হাঁটার সুযোগ পেয়েছি। সবার মাঝে ২ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হয়েছে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘ভালো লাগছে যে টানা দুইদিন একদম বন্দি রুমে থাকার পর বাইরে হাঁটার সুযোগ পেলাম। প্রথম করোনা পরীক্ষায় সবার নেগেটিভ আসার পর আমাদের হাঁটতে দিয়েছে। আরও কিছু টেস্ট বাকি আছে। এরপর আল্লাহ চাইলে আমরা অনুশীলন শুরু করতে পারব। সবমিলিয়ে আলাদা অনুভূতি। চাইব যত দ্রুত অভিজ্ঞতাটা শেষ হোক, ততোই ভালো।’

ঘরের মধ্যে একা একা কীভাবে সময় কাটছে? তা জানিয়ে তাসকিন বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে (ফোনে) কথা বলে, সিনেমা দেখে। বিসিবি থেকে আমাদের কিছু শরীরচর্চারও ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কিছু কর্মসূচি দেয়া হয়েছে, যে ঘরে যেসব শরীরচর্চা করা সম্ভব সেগুলো করার জন্য। তো সবমিলিয়ে এভাবেই সময়টা কেটে যাচ্ছে। কিছু শরীর চর্চা, সিনেমা, পরিবারকে সময় এভাবেই যাচ্ছে।’