বুয়েন্স আয়ার্স এখন উৎসবের নগরী

Jaber Jaber

Ahmed

প্রকাশিত: ১২:১৯ অপরাহ্ণ, |                          

দিয়েগো ম্যারাডোনাও কী পেরেছিলেন পুরো আর্জেন্টিনাকে এভাবে একসুতোয় গেঁথে নিতে! কিংবা মারিও কেম্পেস? বিশ্বকাপ জয়ে পুরো দেশ আবেগে উদ্বেলিত হয়ে উঠবে, আনন্দে-বিজয়োল্লাসে মেতে উঠবে- এটাই তো স্বাভাবিক। ১৯৭৮ সালে মারিও কেম্পেস, ১৯৮৬ সালে দিয়েগো ম্যারাডোনার সৌজন্যে উৎসবে মেতে ওঠার সুযোগ পেয়েছিলো পুরো আর্জেন্টিনা।

এরপর একটি প্রজন্ম কেটে গেলো। কেটে গেলো ৩টি যুগ (৩৬ বছর)। বিশ্বকাপের দেখা নেই আর্জেন্টাইনদের। ১৯৮৬ সালের পর, ২০২২ সালের আগে আরও দু’বার ফাইনালে উঠেছিলো তারা। ১৯৯০ বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে হেরে টানা দুই শিরোপা জয় বঞ্চিত হলো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। ২০১৪ সালেও সেই জার্মানি। মারিও গোৎসের এক গোলেই সব আনন্দ মাটি হয়ে যায় মেসিদের।
অপেক্ষার অবসান আর আক্ষেপ-আফসোসে পোড়ার সময় শেষ হলো ১৮ ডিসেম্বর রোববার রাতে, কাতারের দোহায় লুসাইল সিটি স্টেডিয়ামে। শ্বাসরূদ্ধকর ফাইনাল শেষে বিজয়ের হাতি মেসিদের মুখে। বিজয়ের হাসি পুরো আর্জেন্টিনার মুখে।

পৌনে ৫ কোটি আর্জেন্টাইনের ঘুম হারাম হয়ে গেছে গত কয়েকদিন। রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের ঐতিহাসিক মনুমেন্ট অবলিসকো ডি বুয়েন্স আয়ার্সের চত্ত্বরে লক্ষাধিক মানুষ জড়ো হয়ে খেলা দেখেছে জায়ান্ট স্ক্রিনে। মাথায় বাধা আর্জেন্টিনার পতাকা, শরীরে জার্সি, গায়ে ট্যাটু, ঢাক-ঢোল পতাকা উড়িয়ে তারা জমা হয় প্লাজা ডি লা রিপাবলিকায় অবস্থিত ঐতিহাসিক অবলিসকো ডি বুয়েন্স আয়ার্সের সামনে।