ভোট দিয়েই কাদের মির্জার হুঙ্কার

প্রকাশিত: ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ, |                          

উৎসবমুখর পরিবেশে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের ইভিএম পদ্ধিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এ নির্বাচনে সবার আগে ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই এবং আওয়ামী লীগের আলোচিত মেয়রপ্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় ইভিএমে ভোট শুরুর কথা থাকলেও ভোর সাড়ে ৬টায় নিজ কেন্দ্র উদয়ন প্রি-ক্যাডেট একাডেমি কেন্দ্রে গিয়ে উপস্থিত হন নৌকা প্রতীকের এই প্রার্থী। এক নম্বর ওয়ার্ডের এই কেন্দ্রটিতে ভোট শুরুর পর প্রথম ভোটটি তিনিই দেন।

পরে সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন কাদের মির্জা। এসময় তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ভোটে কোনো ধরণের অনিয়ম হলে শয্য করবো না, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো। এসময় তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট নেয়ার আহ্বান জানান।

নিজের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলের হাইকমান্ড থেকে তাকে নিশ্চিত করা হয়েছে ভোট অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এই ভোটের মাধ্যমে সন্ত্রাস, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জয় হবে।’

এর আগে প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা শুরুর পর থেকেই নিজের বিভিন্ন মন্তব্যের জন্য আলোচিত ছিলেন তিনি। নিজের দল আওয়ামী লীগ এবং দলটির মন্ত্রী, এমপি ও বিভিন্ন নেতাসহ প্রশাসনকে নিয়ে একের পর এক তির্যক বক্তব্য দিয়ে তুমুল আলোচনায় আসেন কাদের মির্জা। এমনকি সমালোচনা করেন নিজের বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরকে নিয়েও।

তবে নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি অভিযোগ করেন, তাকে হারানোর জন্য একাধিক সংসদ সদস্য বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে টাকা ঢেলেছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে বসুরহাট রূপালী চত্বরে এক পথসভায় কাদের মির্জা বলেন, ‘যারা প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের দায়িত্বে আছেন, যদি কোনো কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি হয়, কোনো অনিয়ম যদি ভোটে হয়, কোনো রক্ত যদি এখানে ঝরে, কারও কর্তৃক প্ররোচিত হয়ে, কারও থেকে সুবিধা নিয়ে যদি জাল ভোট হয়, যদি কোনো অনিয়ম করেন, কোম্পানীগঞ্জের মাটি থেকে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না স্পষ্ট বলে দিচ্ছি।’

‘ঠ্যাংগের নিচে দি ভাঙ্গিচুরি লটকাই থুমু এই রূপালী চত্বরে (পায়ের নিচের দিকে ভেঙে রূপালী চত্বরে ঝুলিয়ে রাখব),’ আঞ্চলিক ভাষায় বলেন তিনি।

প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের বেশিভাগই বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী।

বসুরহাট পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ১১৫ জন। পুরুষ ১০ হাজার ৬২১ এবং নারী ১০ হাজার ৪৯৪ জন। মোট ৯টি কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৬১টি।

বসুরহাট পৌরসভায় ৩ জন মেয়র পদে, সংরক্ষিত ৩টি নারী কাউন্সিলর পদে ৭ জন এবং ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫ জনসহ মোট ৩৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের আবদুল কাদের মির্জা (নৌকা), বিএনপির কামাল উদ্দিন চৌধুরী (ধানের শীষ) ও স্বতন্ত্র মোশারফ হোসেন (মোবাইল ফোন)।