প্রেমিকের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে কিশোরীর লাশ

প্রকাশিত: ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ, |                          

মাদারীপুরে ডাসার থানাধীন বালিগ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব বোতলা গ্রামে নিখোঁজের ১১ মাস পর প্রেমিকের বাড়ির পেছনে সেপটিক ট্যাংকি থেকে কিশোরীর গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার রাত ৮টার দিকে এই মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দা ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের ডাসার থানাধীন পূর্ব বোতলা গ্রামের চাঁন মিয়া হাওলাদারের দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মুর্শিদা আক্তারের সঙ্গে একই গ্রামের মজিদ আকনের ছেলে সাহাবুদ্দিন আকনের প্রেমের সম্পর্ক হয়। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে চিকিৎসা করানোর কথা বলে মুর্শিদাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় সাহাবুদ্দিন। এরপর নিখোঁজ হয় মুর্শিদা। এ ঘটনায় গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদার পরিবার ডাসার থানায় জিডি করে। এতে প্রতিকার না পাওয়ায় ৪ মার্চ সাহাবুদ্দিনসহ পাঁচজনকে আসামি করে ডাসার থানায় মামলা করেন মুর্শিদার মা মাহিনুর বেগম।

দীর্ঘদিন কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় মামলাটি পুলিশ ব‌্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তরের আবেদন করে বাদী পক্ষ। পরে গোয়েন্দা পুলিশ মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) মামলার আসামি সাহাবুদ্দিন আকন আদালতে আত্মসমর্পণ করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই তারিকুল ইসলাম সাহাবুদ্দিনের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে মুর্শিদাকে হত‌্যা ও লাশ গুম করার কথা স্বীকার করে সাহাবুদ্দিন। সাহাবুদ্দিনের দেওয়া তথ্য মোতাবেক সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাহাবুদ্দিনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মুর্শিদার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) তারিকুল ইসলাম বলেন, লাশটি দীর্ঘ ১১ মাস সেপটিক ট্যাংকের নিচে থেকে পচে-গলে গেছে। কঙ্কাল, পরনে থাকা পোশাক, ভ্যানিটি ব্যাগসহ বেশ কিছু আলামত পাওয়া গেছে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে মুর্শিদার লাশ সংরক্ষণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল ওহাব বলেন, দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির পরিবার থানায় মামলা করার পর থেকে শাহাবুদ্দিন পলাতক ছিলেন। পরে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশকে দেওয়া হয়।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান জানান, সাহাবুদ্দিনের দেয়া তথ্য মোতাবেক আসামির বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।