আদালত চত্বরে বিয়ে করে জামিন পেলো ধর্ষক

প্রকাশিত: ৮:০৩ পূর্বাহ্ণ, |                          

ঝালকাঠির আদালত চত্বরে নির্যাতিত তরুণীকে বিয়ে করে ধর্ষণ মামলার আসামি জামিন পেয়েছেন। আসামি, ভিকটিম ও উভয়পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে বিবাহ সম্পন্ন হয়।

রোববার দুপুরে ঝালকাঠির অবকাশকালীন জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহর নির্দেশে দুই পক্ষের উপস্থিতে বিয়ে পড়ান কাজী মাওলানা মো. সৈয়দ বশির।

ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিয়ের বর হলেন, বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগাতি গ্রামের আনোয়ার সরদারের ছেলে নাঈম সরদার (২২) আর কনে হলেন ঝালকাঠির বালিঘোনা গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের মেয়ে আরজু আক্তার (১৮)। বিয়ের পর আসামি বর নাঈমের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক মো. শহিদুল্লাহ।

পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল মান্নান রসুল জানান, ঝালকাঠি সদর উপজেলার বালিঘোনা গ্রামের আরজু আক্তার গত ৮ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নালিসি মামলা দায়ের করেন। বিচারক ভিকটিমের অভিযোগ ঝালকাঠি থানায় এফআইআর হিসেবে রেকর্ডরে নির্দেশ দেন।

১২ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে এফআইআর রেকর্ড হলে একমাত্র আসামি নাঈমের বাবা আনোয়ার হোসেন ছেলেকে ১৩ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় নিয়ে যান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুজ্জামান আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠান। আদালত নাঈমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রোববার অবকাশকালীন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামির জামিন শুনানির সময় আসামিপক্ষ ভিকটিমকে বিয়ের আগ্রহ প্রকাশ করে। ভিকটিমের পক্ষও প্রস্তাবে রাজি হলে বিচারক মো. শহিদুল্লাহ আদালত চত্বরেই ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিবাহের নির্দেশ দেন।

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আদালতে কাগজপত্র জমা দিলে শুনানি শেষে ২০ হাজার টাকা বন্ডে আসামির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। বর নাঈম পেশায় একজন ইলেক্টট্রিশিয়ান এবং কনে আরজু দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। ২০১৯ সালের প্রথম দিকে তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় এবং প্রেম হয়। ঘটনার দিন অর্থাৎ গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ১০টায় বাড়ির পেছনের বাগানে মোবাইলে ডেকে এনে ভিকটিমকে ধর্ষণ সম্পর্ক করে নাঈম।