স্পেন আল ইসলাহ এর উদ্যোগে বদর দিবস পালন

প্রকাশিত: ৭:৫৬ পূর্বাহ্ণ, |                          

সিদ্দিকুর রাহমান ,স্পেন:
বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ স্পেন শাখার উদ্যোগে ঐতিহাসিক বদর দিবস এবং রামাদ্বানের তাৎপর্য শীর্ষক এক আলোচনা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।শনিবার(৮ ই মার্চ) ১৭ ই রামাদান মাদ্রিদের শাহজালাল লতিফিয়া বাংলাদেশ জামে মসজিদে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির স্পেন শাখার সভাপতি মাওলানা আসাদুজ্জামান রাজ্জাক।
আনজুমানে আল ইসলাহ স্পেনের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম শিবলু’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য দেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ইন স্পেনের সাবেক সভাপতি কাজী এনায়েতুল করিম তারেক , বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য দেন বাংলাদেশে এসোসিয়েশন ইন স্পেনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সুন্দর , গ্রেটার সিলেট এসোসিয়েশন ইন স্পেনের উপদেষ্টা আব্দুল কাইয়ুম মাসুক , আবু জাফর রাসেল , ব্যাবসায়ী আবুল হোসেন , আব্দুর রাজ্জাক উনু মিয়া ,জব্বার আহমদ ,শাহজালাল লতিফিয়া জামে মসজিদের ইমাম মাও: আতিকুর রহমান , ক্বারী আব্দুর রউফ ,হাফিজ সাইদুল ইসলাম ,হাফিজ শাহজাহান আলী,বেলায়েত আহমেদ,মাঈনুদ্দিন আল ক্বাদেরী,আব্দুল মালেক , জসিম উদ্দিন , আবু সুফিয়ান বাদশাহ ,ইকবাল আহমদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পবিত্র বদর যুদ্ধে রসূল (সা.) এর নেতৃত্বে ৩১৩ জন সাহাবী আল্লাহ তায়ালার গায়েবী সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে তৎকালীন কাফের গোত্রসমূহের সরদার ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিসহ ৭০ জনকে হত্যা করে ইসলামকে বিজয়ী করেছিলেন। আল্লাহ তায়ালার গায়েবী সাহায্যের মাধ্যমে ইসলামের সকল যুদ্ধে মুসলমানেরা বিজয়ী হয়েছিলেন। আজও ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করতে হলে মহান আল্লাহর গায়েবী সাহায্য লাগবে। আর আল্লাহর গায়েবী সাহায্য পাওয়ার মাপকাঠি হচ্ছে আধ্যাত্মিক শক্তি, যা আমাদের অর্জন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা আসাদুজজামান রাজ্জাক বলেন, বদর যুদ্ধ ইসলাম এবং মুসলমানদের জন্য এক ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। ইসলাম যে শিক্ষা মুসলমানদের প্রতিনিয়ত দিয়ে আসছে। আর তা হলো- সব কাজে ‘তাওয়াক্কালতু আ’লাল্লাহ’ আল্লাহর ওপর অগাধ বিশ্বাস এবং ভরসা। বিপদ-আপদসহ সর্বাবস্থায় আল্লাহর ওপর আস্থাশীল হওয়াই হলো বদরের ঐতিহাসিক সুমহান শিক্ষা এবং উনি ইফতারে আগত মুসল্লীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠান শেষে বিশ্বের সকল নির্যাতিত মুসলমানদের মুক্তি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে সমবেত রোজাদার মুসল্লীগণ ইফতারে অংশ নেন।