বাজেট অনুষ্ঠানে মেয়র আরিফের ঘোষণায় বিব্রত সাংবাদিকরা

প্রকাশিত: ১:১৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১ | আপডেট: ১:১৭:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার। এ জন্য নগরীর বালুচরস্থ একটি কনভেনশন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এই সংবাদ সম্মেলনের অনুষ্ঠানে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষ থেকে করানো একটি ঘোষণায় সাংবাদিকরা বিব্রতবোধ করছেন। ঘোষণাটি নিয়ে তাদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

আরিফের পক্ষ থেকে করানো ওই ঘোষণায় বলা হয়, সম্প্রতি উচ্চ আদালত সারাদেশে অনিবন্ধিত সব অনলাইন নিউজ পোর্টাল (অনলাইন সংবাদমাধ্যম) বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে সিসিকের বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে অনিবন্ধিত অনলাইন সংবাদমাধ্যম যেন কোনো ছবি না তুলে এবং কোনো লাইভ সম্প্রচার যেন না করে।

এমন ঘোষণায় সিসিকের সংবাদ সম্মেলনস্থলে উপস্থিত অনলাইন সংবাদমাধ্যমের প্রায় শতাধিক সাংবাদিকগণ মধ্যে বিব্রতবোধ করেন। তাদের মধ্যে দেখা দেয় নানা প্রশ্ন।

বেশ কয়েকজন সাংবাদিক বলেন, দেশে অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল কতোগুলো, সে বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় তো এখনও কোনো ঘোষণা দেয়নি। এরকম কোনো তালিকাও নেই। এমনকি খোদ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনলাইন নিউজপোর্টাল রেজিস্ট্রেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া। কারণ ইতোমধ্যেই রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত ছাড়া আর কোনো অনলাইন ভবিষ্যতে বের হবে না বা আজকে যে সমস্ত পত্র-পত্রিকা আছে সেগুলো ছাড়া ভবিষ্যতে আর কোনো পত্র-পত্রিকা বের হবে না, তেমন নিয়ম কোথাও নেই।

সাংবাদিকগণ বলেন, আমাদের তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, এটি (নিবন্ধন) একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া সবগুলোকে একসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়, সেটিও কতটুকুক সমীচীন, সেটিও ভাবার বিষয়। সেজন্য আমরা আদালতের নজরে আনবো।

এমন অবস্থায় সিসিক মেয়র আরিফ কেন এমন ঘোষণা করালেন, তা এক বিরাট রহস্যের বিষয় বলে মনে করছেন অনলাইন সাংবাদিকরা।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেটের কতিপয় সাংবাদিক মিলে মেয়র আরিফের উপর চাপ প্রয়োগ করেছেন, যাতে অনলাইন সংবাদমাধ্যম সিসিকের অনুষ্ঠান বা কর্মসূচির সংবাদ কাভার করতে না পারে। তাদের প্রবল চাপে বাধ্য হয়ে আজ ওই ঘোষণা করিয়েছেন মেয়র আরিফ।

তবে যেসব সাংবাদিক এমন চাপ প্রয়োগ করেছেন, তাদের সিংহভাগই সিলেটের প্রথম সারির অনলাইন সংবাদমাধ্যম থেকে প্রতিদিন সংবাদ কপি করে ঢাকায় নিজ নিজ পত্রিকায় পাঠান।

অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা বলছেন, একদিকে তারা কপি করে সংবাদ ঢাকায় পাঠিয়ে নিজেদের চাকরি বাঁচাচ্ছেন, অন্যদিকে তারাই আবার অনলাইন সংবাদমাধ্যমের বিরোধীতা করছেন!