ভারতে গ্রেফতার পুলিশ পরিদর্শককে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু

প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ, |                          

ভারতে গ্রেফতার বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরুর জন্য চিঠি দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

রোববার ভারতের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) এই চিঠি দেয় পুলিশ সদর দপ্তর। এনবিসি যদিও এখনও কোনো সাড়া দেয়নি।

পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম জানান, ভারতে গ্রেফতার হওয়া পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা সম্পর্কে জানতে এবং তার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু করতে তারা রোববার এনসিবি-নয়াদিল্লিকে একটি ই-মেইল পাঠিয়েছেন।

তিনি বলেন, ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কাছে এখনও বিষয়টি জানায়নি। বনানী থানার পরিদর্শক কীভাবে কোচবিহারে গ্রেফতার হয়েছেন, সে সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানতে চাই। আমরা ইতোমধ্যে এই পুলিশ কর্মকর্তাকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছি। যদিও এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, যা ভারতের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তির বিষয়ে সামঞ্জস্য রেখে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতার ওপর নির্ভর করবে।’

উল্লেখ্য, অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে শুক্রবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্দায় সেদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে গ্রেফতার হন সোহেল রানা।

ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা। পুলিশও বলেছে, ই–অরেঞ্জের মূল মালিক পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানার বোন সোনিয়া মেহজাবিন, ভগ্নিপতি মাসুকুর রহমান ও আমানউল্লাহ নামের এক ব্যক্তি। মামলার পর এই তিনজনই এখন কারাগারে আছেন। এজাহারভুক্ত আসামি বীথি আক্তারসহ দুজন পলাতক।

মামলার বাদী বলছেন, বীথি আক্তার সোহেল রানার স্ত্রী বলে তিনি শুনেছেন। যদিও সোহেল রানা তা অস্বীকার করেছেন। আর পুলিশ বলছে, বীথি আক্তারকে নিয়ে যে বক্তব্য এসেছে, তা তদন্ত করে নিশ্চিত হবে তারা।

এক লাখ গ্রাহকের ই–অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করা হয়। মামলায় ভুক্তভোগী ২৯ জন গ্রাহকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে তাহেরুল ইসলাম বাদী হয়েছেন।

ই–অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটি মোটরসাইকেল, মুঠোফোনসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী অনলাইনে বিক্রি করত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনার জন্য টাকা দেন গ্রাহকেরা। একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর ই–অরেঞ্জ কোম্পানির পণ্য সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি পণ্যও দিচ্ছে না, টাকাও ফেরত পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা।