দেশে ৬ মাসের মধ্যে করোনার টিকা উৎপাদনের সুপারিশ

প্রকাশিত: ৪:১২ অপরাহ্ণ, |                          

আগামী ছয় মাসের মধ্যে ওষুধ প্রস্তুতকারী সরকারি কোম্পানি এসেনশিয়াল ড্রাগসের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনের ‘জোর’ সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

মঙ্গলবার ( ১৭ আগস্ট) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, “আজকের বৈঠকে আমরা এ বিষয়ে জোরালোভাবে বলেছি যে আগামী ছয় মাসের মধ্যে এসেনশিয়াল ড্রাগসের মাধ্যমে দেশে টিকা উৎপাদন করতে হবে।”

টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে জিটুজি (সরকারের সঙ্গে সরকারের) চুক্তি করার জন্যও বলেছি আমরা।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডের তিন কোটি ডোজ কেনার জন্য গত বছরের শেষ দিকে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেরাম ইনস্টিটিউট দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ পাঠানোর পর ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিলে টিকার সঙ্কটে পড়ে বাংলাদেশ। গণটিকা শুরু হওয়ার পর পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় ২৫ এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়।

তখন সরকার অন্য উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা চালায়। বাংলাদেশ সিনোফার্মের কাছ থেকে সাড়ে সাত কোটি ডোজ টিকা কিনবে বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে দেড় কোটি ডোজের বিষয়ে চুক্তিও হয়েছে।

এর আগে গতকাল সোমবার করোনার টিকা বাংলাদেশে উৎপাদনের জন্য সিনোফার্ম, ইনসেপ্টা ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির স্বাক্ষর হয়েছে।চীন থেকে বাল্ক টিকা এনে বাংলাদেশে ভায়ালে ভরা এবং লেবেলিংয়ের কাজটি করবে ইনসেপ্টা। তাদের কাছ থেকে সরকার সেই টিকা কিনে নেবে।

সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগসের বিদ্যামান কিছু অবকাঠামো এবং নতুন কিছু যন্ত্রপাতি কিনলে টিকা উৎপাদন সম্ভব বলে জানান শেখ ফজলুল করিম সেলিম।