সিলেট ২৭শে জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:০২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০২০
টেকনাফের উপকূলীয় সরকারি বন বিভাগের জমি বেদখলে কর্তৃৃপক্ষ নীরব
আজিজ উল্লাহ,টেকনাফ:
টেকনাফ উপকূলীয় বন বিভাগের শত শত একর জমি বেদখলে যাচ্ছে। উজাড় হচ্ছে উপকূলীয় বনভূমি। উপজেলার হোয়াইক্যং, উলুবনিয়া, শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত প্রায় ৫৫ কিঃ মিঃ উপকূলীয় বন ভূমির জমি বেদখলে চলে গেছে এবং উক্তি ভূমির বাগান উজাড় হচ্ছে বলে স্থানীয় সচেতন মহলের ক্ষোভ।
উপকূলীয় এলাকা পরিদর্শে গিয়ে দেখা যায় হোয়াক্যং, হ্নীলা ও সাবরাং ইউনিয়নের বেশি ভাগ উপকূলীয় বনভূমি বেদখলে। এখানে বাগান কেটে চিংড়ি ঘের, লবন খেত ও রোহিঙ্গাদ ও স্থানীয়দের অবৈধ বসত বাড়ি নির্মিত হচ্ছে। বিগত ৮/৯ বছর ধরে এ সমস্ত উজাড় কৃত বনভূমিতে নতুন করে বাগান সৃজন করা হয় নি। বরং অতীতের বাগান গুলো ধ্বংস করা হচ্ছে।
এখানে একটি মাত্র উপকূলীয় বন রেঞ্জ রয়েছে। যার প্রধান কার্যালয় পৌরসভার নাইট্যং পাড়া এলাকায়। এ অফিসে গিয়ে দেখা যায় বন বিভাগের দায়িত্বশীল কোন করর্মকতা নেই।কয়েকজন বন প্রহরী বাগান মালিক ও বোট চালকদেরকে দেখা যায়।এদের কাছ থেকে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান স্যারেরা ছুটিতে রয়েছে।এ ছাড়া হোয়াইক্যং, হ্নীলা, শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিন উপকূলীয় বন বিট কর্মকতাদের বিষয়ে স্ব স্ব স্থানের লোকজনদের সাথে যোগাযোগ করে জানাযায় তারাও কর্মস্থলে প্রায় সময় থাকে না। মাঝে মধ্যে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে যায়। আবার মাস শেষে বেতন উত্তোলন করে কর্মস্থল ত্যাগ করে। এভাবেই চলছে উপকূলীয় বন বিভাগের কর্মকান্ড।
উল্লেখ যে, উপকূলীয় বন বিভাগের বোট চালক রয়েছে কিন্তু কোন বিট অফিস ও রেঞ্জ অফিসে কোন বোট নেই বললেও চলে। এ ছাড়া ২০১৭ সালে উখিয়া-টেকনাফ উপজেলায় মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আগমন ঘটে এতে বন বিভাগ ও উপকূলীয় বন বিভাগের ক্ষতি সাধিত হয়। এ বিষয়ে গত ২০১৯ -২০২০ অর্থ বছরে বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয় এবং বিশ্ব ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে সুফল বনায়ন শুরু করেছে। এতে উপকূলীয় বন বিভাগেও বাগান সৃজন করার লক্ষ্যে বিপুল বাজেট প্রনয়ণ করেছে বলে সূত্রে জানা যায়।কিন্তু উপজেলার উপকূলীয় বন বিভাগের কোন কর্মকান্ড দেখা যাচ্ছে না বলে স্থানীয়রা জানায়।
কক্সবাজার জেলা প্রতি বছর সরকারি খাস জমির চিংড়ি মহাল ইজারা দিয়ে থাকে। সুনির্দিষ্ট চৌহদ্দি থাকে। কিন্তু সু-চতুর চিংড়ি মহাল ইজারাদারগণ উপকূলীয় বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকতাদের সাথে অখিলিত চুক্তি করে চৌহদ্দির পাশের উপকূলীয় বনের জমি গুলো দখলে নিয়ে চিংড়ি চাষ করার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপকূলীয় বন রেঞ্জ কর্মকতা সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আজিজ উল্লাহ,
টেকনাফ।
২৪ নভেম্বর ২০২০
Chief Editor : Afroz Khan
Editor: Sunny Ahmed
Executive editor: Mohammed Taizul islam,
Message editor : Shahan Shah Ahmed
Call: +88 01995-019920
Office : West World Shopping City (7nd Floor), Zindabazar, Sylhet 3100
Email : info.Sylhetnewsworld@gmail.com
Web : www.SylhetNewsWorld.com