সরকারি আদেশ পাত্তাই দিচ্ছে না গণপরিবহন

প্রকাশিত: ৪:০৪ অপরাহ্ণ, |                          

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৯ দিনের বিধিনিষেধ শেষে শর্তভিত্তিক চালু হয়েছে গণপরিবহন। তবে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এবং ‘যত সিট, তত যাত্রী’ তুলতে পারবে পরিবহনগুলো। প্রথম দিনেই এ শর্ত উপেক্ষিত হতে দেখা গেছে রাজধানীতে।

অধিকাংশ বাসে সিট না থাকলেও বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে বাসে যাত্রী তুলতে দেখা গেছে। বাধ্য হয়ে অনেক যাত্রীও দাঁড়িয়েই গন্তব্যে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে রাজধানীর গুলিস্তান, শাহবাগ, পল্টন, ও মৌচাক, মালিবাগ, ফার্মগেট, মিরপুর এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এছাড়া রাস্তায় অর্ধেক গণপরিবহন চলার কথা থাকলেও গাড়ির ব্যাপক চাপও দেখা যায়।

যাত্রীদের বাড়তি চাপ কাজে লাগিয়ে নির্দেশনা অমান্য করেই বাসে অতিরিক্ত যাত্রী তুলতে দেখা গেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সামনেই গাদাগাদি করে যাত্রী তোলা হলেও কোনও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। কোথাও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কোনও গাড়ি আটকাতে বা জরিমানা করার তথ্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে, দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করার বিষয়ে নানা অজুহাত আর যুক্তি দেখাচ্ছেন বাসচালকরা। চালকদের কেউ বলছেন-‘সামনের স্টপেজ বাড়তি যাত্রী নেমে যাবে।’ আবার কেউ বলছেন, ‘যাত্রীরাই জোর করে গাড়িতে উঠেছেন।’

পল্টন মোড়ে দাঁড়িয়ে গাদাগাদি করে যাত্রী নেয়া আকাশ পরিবহনের চালক বলেন, ‘গুলিস্তান এসব যাত্রী নেমে যাবে। কাকরাইল থেকে বাড়তি যাত্রী উঠেছে। তার আগে গাড়ি ফাঁকাই ছিল।’

কিছু পরিবহনকে আসন অনুযায়ী যাত্রী নিয়ে গেট বন্ধ করে চলাচল করতেও দেখা গেছে।

অধিকাংশ বাসে গাদাগাদি করে যাত্রী তোলায় স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভবও হচ্ছে না। অনেকে যাত্রীর মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি। অধিকাংশ বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারকে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। যারা পরেছেন, তারাও থুতনির নিচে নামিয়ে রেখেছেন।