সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে অবৈধ মোবাইল শনাক্তের কাজ

প্রকাশিত: ৩:২০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২১ | আপডেট: ৩:২০:অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২১

অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট শনাক্তকরণের কাজের সময় বাড়ানো হয়েছে। এজন্য শুরুতে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে এক মাস সময় দেয়া হলেও এখন তা বাড়িয়ে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। কাজটি অত্যন্ত জটিল ও সময়সাপেক্ষ উল্লেখ করে গ্রাহকরা যাতে হয়রানির শিকার না হন এবং নির্ভুলভাবে শেষ করতেই এটি করা হয়েছে। এছাড়া এ সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়ানোরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট শনাক্তের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন পন্থায় অবৈধভাবে প্রবেশ করা এসব মোবাইল সেট পরে বিচ্ছিন্ন করা হবে। এজন্য ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম ব্যবহার করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ। দেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করবে বিটিআরসি। এতে মোবাইল গ্রাহকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্যও বলেছে প্রতিষ্ঠানটি। অবৈধ মোবাইল সেট বৈধ করার সময় পাবেন সবাই। এখনই কারও মোবাইল সেট নিষ্ক্রিয় বা বন্ধ করা হবে না। নিবন্ধিত বৈধ মোবাইল সেট হারিয়ে গেলে তা নিষ্ক্রিয় করা যাবে।

এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘প্রতিটি মোবাইল সেটের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি (আইএমইআই) নম্বর আছে, যা মোবাইলটির আইডেন্টিফিকেশন টেক। মোবাইল যখন আমদানি করে তখন আমরা নম্বরসহ এর অনুমতি দেই। যারা বাংলাদেশে প্রোডাকশন করে সেটারও অনুমোদন দেয়া হয় নম্বরসহ। এর বাইরে কিছু মোবাইল স্মাগলিং হয়। বিদেশ থেকে যে কেউ দুটি মোবাইল আনতে পারেন। আবার কেউ কেউ ট্যাক্স দিয়েও নিয়ে আসেন। আমাদের কাছে যে বিষয়টি জটিল ছিল তার প্রথমটি হচ্ছে আগে তো সিমের কোনো নিবন্ধন ছিল না। প্রথমে সিম নিবন্ধন করলাম। এখন জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলে সিম খুঁজে পাবেন। কিংবা সিম থাকলে এনআইডি নম্বর খুঁজে পাবেন।’

তিনি বলেন, ‘এরপর দেখতে পাচ্ছি, বেআইনি মোবাইল সেট আমদানি বা চোরাচালান অব্যাহত আছে। এটার ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আমাদের এখানে যারা বৈধ ব্যবসা করেন এবং লোকাল ম্যানুফ্যাকচাররা প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিন্তু আমরা এই সিস্টেমটা ডেভেলপ করেছি। এই সিস্টেম ডেভেলপ করার পর যেসব মোবাইল নিবন্ধিত হয়নি সেগুলো ৩০ জুন পর্যন্ত নিবন্ধনের জন্য বলেছিলাম। এ ব্যাপারে বলেছি, সিম দিয়ে যেসব মোবাইল চালু আছে সেগুলোর নিবন্ধন দেয়ার জন্য। বৈধ-অবৈধ সেগুলো আমরা যাচাই করিনি।’