পেট্রল ঢেলে দোকানে আগুন, দগ্ধ যুবকের মৃত্যু

Jaber Jaber

Ahmed

প্রকাশিত: ৪:২৬ অপরাহ্ণ, |                          

গাজীপুরের শ্রীপুরে দলবল নিয়ে মুদি দোকানে হামলা এবং পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দগ্ধ আরিফ হোসেন (২৬) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেশি চাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ নিয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরিফ হোসেন মারা যান।

আরিফ উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয় খালি গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে।

এ ঘটনায় অপর আহতরা হলেন- একই এলাকার জজ মিয়া ও তার ছেলে মোফাজ্জল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন এবং সজিব। তাদের শ্রীপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত তেলিহাটি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি তোফাজ্জল সরকারসহ তিনজনের নামে শ্রীপুর থানায় মামলা হয়েছে। মামলার অপর আসামিরা হলেন- তেলিহাটি গ্রামের ফালু সরকারের ছেলে মোফাজ্জল সরকার এবং তাইজু সরকারসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন।

শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া মামলার বরাত দিয়ে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তেলিহাটি মোড়ে ভাই ভাই ট্রেডার্সে গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে আসেন স্থানীয় প্রভাবশালী ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি তোফাজ্জল সরকার।

দাম বেশি চাওয়া হয়েছে এমন অভিযোগে দোকান মালিক মোজাম্মেলের সঙ্গে তোফাজ্জলের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে খবর পেয়ে তোফাজ্জলের ভাই মোফাজ্জল সরকার ও তাইজু সরকার দলবল নিয়ে এসে দোকানে হামলা করে এবং পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে দোকান মালিক ও তার তিন ভাই দগ্ধ হন।

অভিযুক্ত যুবদলের সভাপতি তোফাজ্জল সরকার বলেন, আমরা সবসময় ৯০০ টাকায় গ্যাস সিলিন্ডার ক্রয় করি। সন্ধ্যায় আমি তেলিহাটি চৌরাস্তা যাওয়ার পর দোকান মালিক মোজাম্মেল আমার কাছে এক হাজার ৫০ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা আমাকে মারধর করেন।

তারা নিজেরা দোকানের মালামাল ভাঙচুর করে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে।

পরিদর্শক (তদন্ত) আরও জানান, এ ঘটনায় দোকান মালিক মোজাম্মেল হোসেনের ভাই তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে অভিযুক্ত করে শুক্রবার সকালে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশের একাধিক টিম আসামিদের গ্রেফতারে কাজ শুরু করছে।

মামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা