পোশাক শ্রমিকদের বেতনের বিষয়ে যা ভাবছেন মালিকরা

প্রকাশিত: ৪:২২ অপরাহ্ণ, |                          

কঠোর বিধিনিষেধে পোশাক তৈরি কারখানা বন্ধ রাখলেও শ্রমিকদের বেতন নিয়ে যাতে জটিলতা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য ফের সরকারের কাছে প্রণোদনা চেয়ে আবেদন করবেন রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের মালিকরা।

নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমানের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে আমরা (সংগঠনের সদস্য) যে কঠিন সময় অতিবাহিত করছি, সে বিষয়ে সরকার অবগত। চলতি বিধিনিষেধ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুনরায় প্রণোদনা চেয়ে আবেদন করা হবে। তার বিশ্বাস, অতীতের মতো ভবিষ্যতেও প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবেন।

চিঠির শুরুতে বিকেএমইএর সভাপতি লেখেন, করোনার বর্তমান ধরনটি মারাত্মক। তাই সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিল্পকারখানাও এর আওতার বাইরে নয়। যদিও সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যাংকিং ও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের জন্য বন্দরসংশ্লিষ্ট সেবা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকছে। মহামারি থেকে দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য আর্থিক ক্ষতি হবে জেনেও বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। ১৪ দিনের এই বিধিনিষেধে রপ্তানি পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটবে তা ঠিক, কিন্তু ভবিষ্যতে করোনামুক্ত পরিবেশে ব্যবসা করার জন্য এই ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। এ সময় তৃতীয় পক্ষের পরামর্শ না নিয়ে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিধিনিষেধ মেনে চলতে কারখানার মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, কঠোর লকডাউনে কারখানা বন্ধ থাকার কারণে রপ্তানি না হওয়ায় অধিকাংশ কারখানাই আর্থিক সংকটে পড়বে। জুলাইয়ের শ্রমিকদের বেতন দিতে হবে। ফলে প্রণোদনার বিষয়ে সরকারকে আগেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এর আগে কঠোর লকডাউনে কারখানা বন্ধ থাকায় সরকার রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের মালিকদের প্রণোদনা দেয়। এবারও প্রণোদনা চেয়ে আবেদন করবেন পোশাকশিল্পের মালিকরা।