![মৃত্যুপুরীতে পরিণত হচ্ছে দেশ: বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা](https://sylhetnewsworld.com/wp-content/uploads/2021/07/7-5.jpg)
দেশে ব্যাপক হারে করোনায় আক্রান্ত গুরুতর রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যার ফলে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হচ্ছে দেশ। সামনে আরো গুরুতর রোগীর সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা করছে বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা তাদের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বিগত দুই সপ্তাহে দ্বিগুন হয়ে বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৯ হাজার ৩৪৩ জন। যারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে কতজন রোগী গুরুতর আছে সেই পরিসংখ্যান নেই।
বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি জরিপ করা সংস্থা ওয়াল্ডোমিটার বলছে, দেশে ১ হাজার ২১৩ জন করোনা রোগী গুরুতর পরিস্থিতিতে আছে। কিন্তু কি হারে দেশে গুরুতর রোগীর সংখ্যা বাড়ছে সেই পরিসংখ্যান নেই সংস্থাটির কাছে।
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতালের পরিস্থিতির পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে গুরুতর রোগী বাড়ার একটি চিত্র পাওয়া যায়।
বর্তমানে সারাদেশের সরকারি বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সাধারণ শয্যায় ৯ হাজার ১২৮ জন ও আইসিইউ শয্যায় ৯১১ জন করোনা রোগী ভর্তি আছেন। অন্তত আইসিইউ থাকা রোগীরা সবাই গুরুতর। যেটি দুই সপ্তাহ আগে গত ২৫ জুন ছিল ৩৩২ জন। এ হিসেবে বিগত দুই সপ্তাহে গুরুতর রোগী বেড়েছে ৬৪ শতাংশ।
এদিকে বৃহস্পতিবার করোনায় ১৯৯ জন মারা গেছেন। গতকাল ২০১ জন মারা যান। অন্যদিকে দুই সপ্তাহ আগে মৃতের সংখ্যা অর্ধেক ছিলো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইসিইউ ছাড়াও অনেক গুরুতর রোগী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিশেষ করে গুরুতর রোগী বেড়ে যাওয়ায় রাজধানী ঢাকার হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ সংকট দেখা দিচ্ছে। অনেক হাসপাতালে আইসিইউ ফাকা নেই। এমন পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে অবনতি হচ্ছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সুলতানা শাহানা বানু বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, যতদিন করোনা সংক্রামণ বাড়তে থাকবে। ততদিন বলা যাবে না আসলে কেমন পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আগে হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীরা দুই সপ্তাহ (১৪দিন) পর গুরুতর হতে থাকে। এরপর চিকিৎসায় উন্নতি না হলে তখন রোগী মারা যাচ্ছেন। অর্থাৎ করোনায় মৃতের আজকের পরিস্থিতি দুই সপ্তাহের আগের সংক্রমণ পরিস্থির ফল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান সংক্রমণ পরিস্থির ফল আসবে দুই সপ্তাহ পর। সামনে গুরুতর রোগীর সংখ্যা বাড়লেই আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে। তাই স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার বিকল্প নেই।