নিষ্ঠুর রসিকতায় পরিণত হয়েছে লকডাউন: ফখরুল

প্রকাশিত: ৩:৪৯ অপরাহ্ণ, |                          

লকডাউন বর্তমানে অকার্যকর নিষ্ঠুর রসিকতায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, মহামারী ব্যবস্থাপনায় সরকারের উদাসীনতা ও বিজ্ঞানমনস্ক নীতি প্রণয়নে চরম ব্যর্থতার ফলে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় উপনীত হয়েছে। একদিকে অক্সিজেনের অভাবে করোনা রোগীর অকাল মৃত্যু, আইসিইউ সুবিধার অভাব, হাসপাতালের চিকিৎসার জন্য ন্যূনতম বেড পাচ্ছে না এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও ঔষধের অভাবে জনগণের মধ্যে রীতিমত আতংকের সৃষ্টি করেছে।

অন্যদিকে নগদ আর্থিক সহায়তা বা খাদ্যের ব্যবস্থা না করে লকডাউনে মানুষকে ঘরে বন্দী থাকতে বাধ্য করার মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক করোনা মহামারীর সঙ্গে এদেশের মানুষের ঘাড়ে অব্যবস্থাপনাজনিত মহামারী চাপিয়ে দিয়েছে বর্তমান ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকার। লকডাউন বর্তমানে অকার্যকর নিষ্ঠুর রসিকতায় পরিণত হয়েছে। চলমান লকডাউন যেন বেকার হয়ে পড়া কোটি কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে খাদ্যাভাবে মারার অমানবিক হাতিয়ার।

মির্জা ফখরুল বলেন, দরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত না করেই দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন চাপিয়ে দেয়ার সরকারের হঠকারি সিদ্ধান্তে বিশেষ করে দিন আনে দিন খায়- এ শ্রেণির মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নগদ অর্থ সহযোগিতা কিংবা খাদ্য সহায়তা ছাড়া অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কোটি কোটি দরিদ্র মানুষকে ঘরে আটকে রাখা রীতিমতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।

সরকারের অপরিকল্পিত ও অমানবিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত এদেশের কোটি কোটি দিন আনে দিনে খায় মানুষের সকলের জীবনই স্থবির করে ফেলেছে বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।

এসময় বৈশ্বিক মহামারী করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশকে রক্ষায় বিএনপির পক্ষ থেকে পাঁচটি সমন্বিত পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সরকারকে সর্বাত্মক পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি জানানন মির্জা আলমগীর।

দাবিগুলো হচ্ছে, দরিদ্র মানুষকে ঘরে রাখার জন্য তাদের ঘরে নগদ কমপক্ষে এককালীন ১৫,০০০/- টাকা করে এবং খাদ্য পৌঁছে দিতে হবে, মানুষকে বাইরে বের হবার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং মাস্ক ব্যবহারে উদ্বূদ্ধ করতে হবে, অন্তত ৮০% মানুষকে অতি দ্রুত টিকা প্রদান সম্পন্ন করতে হবে, বর্তমানে সারাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সর্বাত্মক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে এবং এখনই দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সকল রাজনৈতিক দল, এনজিও ও সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ে একটি জাতীয় আপতকালীন পরামর্শক কমিটি গঠন করতে হবে।