
সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও সর্বাত্মক লকডাউন চলায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না ঘর থেকে। পরিস্থিতি যখন এমন, তখন একদল নারী-পুরুষ চুপিসারে করেছেন হিন্দু বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। তবে চুপিসারে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে বাড়িযেতে গিয়ে ধরা পড়েন প্রশাসনের চেকপোস্টে। কেউ কেউ গোপনে অলিগলি ধরে বাড়ি পৌঁছতে পারলেও অনেকে আবার চেকপোস্টে আটকা পড়ছেন। তবে আটক কিংবা জরিমানা ছাড়াই পার পেয়ে গেলেন তারা!
এমনই এক নবদম্পত্তি চট্টগ্রামের হাটাহাজারী বাস স্ট্যান্ডে বসা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মুখোমুখি হয়েছিলেন শুক্রবার বিকেলে।
যদিও তাদের দাবি— সীমিত পরিসরে মাত্র কয়েকজনের উপস্থিতিতে মন্দিরে এই বিয়ের আয়োজন হওয়ায় তারা রেহাই পান আদালতের জরিমানা থেকে। কিন্তু ৭ দিন ঘরে থাকার অঙ্গীকারে বাড়ি ফিরতে দেয়া হয় নবদম্পতিকে।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ডের সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনার সময় এক নবদম্পতিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে আটক করা হয়। পরে আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত ঘর থেকে বের হবে না এ অঙ্গীকার করায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় হাটহাজারী বাস স্ট্যান্ডে চেকপোস্ট বসিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানো হয়। প্রত্যেক গাড়ি ও মানুষকে রাস্তায় বের হওয়ার কারণ জানাতে হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে আমাদের দেখে একটি অটোরিকশা দ্রুত চলে যেতে চাইলে তাকে আমরা আটক করি। এসময় সেখানে একজন নববধু ও বরকে বিয়ের সাজে দেখতে পাওয়া যায়। একই গাড়িতে চালক ছাড়াও আরও দুজন তাদের স্বজন ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘নব বিবাহিত দম্পতি জানান, বিয়ের লগ্ন থাকায় চিকনদণ্ডির একটি মন্দিরে কয়েকজনের উপস্থিতিতে তারা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে পৌরসভার বাড়ৈপাড়ার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় আগামী ৭ দিন বাড়ি থেকে বের হবে না এমন প্রতিশ্রুতিতে তাদের বিয়ের বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় জরিমানা ছাড়া ছেড়ে দেয়া হয়।’