সিলেট ২রা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৫৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০২৪
দুটি চোখ মোলায়েম করে তাকালেন ডাক্তার।যেনো অবিরত আনত থাকে তার চোখ।ঠোঁট কে জিহবার লহমায় সামান্য ভিজিয়ে যে কথা বললেন,
এতে মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না তানিয়া বেগম।তিনি আশা কে বাসা থেকে ধরে এনেছিলেন অন্ততঃ শেষ কথা শুনবেন-আপনি মা হবেন!কিন্তু ডাক্তারের পিছলে পড়া কথায় তাকে তার আশা থেকে অনেক দূরে নিয়ে যায়।কেমন জানি ফুঁস করে ওঠে চোখের কূয়োগুলো।বেঁধে রাখা সম বেলুন ভেদ করে গড়িয়ে পড়ে জমতে থাকে নাভির গর্ত বরাবর।গলার ভেতর ফেলতে থাকে ডাইনিং টেবিলের সমুদয় মাছের কাঁটা।নিজেকে সামলে নিতে জমির আহমদের বুকের বাম পাশটাকে আশ্রয় করে কেঁচোর মতো শরীরটা বাঁকিয়ে বলেন;আমার তবে কী হয়েছে ডাক্তার?
নতুন পাশ করা গাইনোকলিস্ট আক্তার হোসেন অনেকটা আইসক্রিম ঠান্ডার স্বরে বলেন;Polycystic Ovarian Syndrome.তাতে কী?
ঘাবড়াবেন না।বিজ্ঞান তো অনেক দিয়েছে।ইচ্ছে করলে সে রকম সুবিধাও নিতে পারেন,যেহেতু আপনাদের টাকা আছে।ব্যাপার টা না হয় আমি ই দেখে দেবো।
ডাক্তারের এমন কথা ও পারে নি থামিয়ে দিতে তানিয়া বেগমের চোখের দুটো কূয়ো।শুকাতে পারে নি ব্লাউজের খাঁজে খাঁজে জমে থাকা নুন বারি।কিংবা সন্তানের জন্য নাভির অলিন্দে লুকিয়ে থাকা আখুটি জল।
পায়ের নখ পরখ করতে করতে জমির সাহেব সাহসে হাত রাখেন তানিয়া বেগমের কাঁধ বরাবর।এবার আলতো করে বলেন;কেঁদো না জান পাখি আমার।আমি যেখান থেকে যে ভাবে পারি তালাশ করে আনবো আমাদের সন্তান।
একদিন জমির আহমদ সত্যি সত্যি ই একজন সন্তানের খুঁজে বেরিয়ে পড়েন।দু চোখের আলোয় খুঁজতে থাকেন কাঙ্খিত আয়শা কে যে কি না সিজারের খরচের জন্য বিক্রি করে দিতে চায়।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিষ্ট।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি –
তাইজুল ইসলাম ফয়েজ।
প্রধান সম্পাদক – আফরোজ খান
বার্তা সম্পাদক : মোঃ আলমগীর আলম
অফিস : আল মারজান শপিং সেন্টার ( ৩য় তলা), জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন- 01995-019920 (WhatsApp+Call)
Call +88 0969-6319920
ইমেইল – news.snworld@gmail.com
All Rights Reserved-2010-2025