সিলেটের সাজেক -আনোয়ার হোসেন মিছবাহ্

প্রকাশিত: ৫:২৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০২৪

সিলেটের সাজেক -আনোয়ার হোসেন মিছবাহ্

 

শেষ টিলায় উঠতেই কবির ভাই বললেন-” আমরা এখন ১৭০ ফুট উপরে।” তিনি জানেন বলেই বলতে পারলেন।কারণ তিনিই হচ্ছেন মালিকানার দাবিদার।
এখানে ঢোকার সময় প্রবেশ মুখের পাতানো টেবিলে নিজের জন্য ১০০ টাকা যানবাহন মোটরবাইক হলে ২০ টাকা দিয়ে ঢুকে যেতে হয় গার্ডেনে।ভেতরে বামদিকের আনারস বাগান আর ডান দিকে মরা পানির ছোটো লেক পার হলেই মাটি বাঁশের খাজকাটা সিঁড়ি পাওয়া যায় তার ডানে বামে গাছের ডালের রেলিংয়ে এখনও রেলিং মেস্তরির করাতের ঘষঘষ আর টক টক হাঁতুড়ির শব্দ।কারণ একটা ই এখনও কাজ চলছে।কাজের সমাপ্তি রিসোর্টের পর।
আমাদের চোখ সিঁড়ির উপর।আর মোবাইলের চোখ শরীরে।আমরা টিলায় উঠছি। সেখানে ১৩২ ফুটের মাথায় ৩০ টাকায় চরম মিষ্টির কফি পানের কফি শ্যাডো।কয়েকটা এলোমেলো চেয়ার।ঠিক সামনে সারি সারি কচি ফলের আনারস বাগান।সেলফি স্ট্যান্ড।ক্যামেরার ক্লিক ক্লিক!ফ্যামেলির ফুসুরফাসুর! এর পরে সোজা ১৭০ ফুট এবং তার উপর ঘর।যার ছবি অনেকের ক্যামেরায় এখনও স্থিত তার নাম “লেক্সাস গার্ডেন “।
গত শনিবার ঘোরাঘুরির মগজে যখন খুব চঞ্চলতা কাজে করে তখনই মনে হচ্ছিলো ঘুরে আসি আফগানিস্তানের কাশ্মির।আর যদি না পারি তবে পার্বত্য রাঙ্গামাটির সাজেক।কিন্তু বাইকের নাগালে কাশ্মির কিংবা সাজেক যাওয়া কষ্টের আওতায় রাখিনি।কেনো না সে তৃষা তু সিলেটে ই মিটানো যায়!দুধের স্বাদ ঘুলে আর কী! প্রিয় হোন্ডা শাইন কে নিয়ে লতিফ কে বললাম-রেডি থাক আসছি…!অর্থাৎ আমার বেলায় যা হয়-নতুন স্থানের গন্ধে মন আকুল!
এবার রওয়ানা সোজা মোকামের গুল পীরেরবাজার।সিলেট শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার।বিকেল গড়িয়ে যাচ্ছে যেতে হবে তাড়াতাড়ি!জাফলং রোডে বাইকের মাইলমিটার ৭০ থেকে ২০ শে নামিয়ে ঢুকে পড়ি শাহ সুন্দর (রঃ) মাজার রোড।আর সেখান থেকে ভেতরে মাজার বরাবর গেলেই মোকামের গুল।থামলাম।একশ করে দুজন আর বাইকের জন্য ২০ টাকার টিকিট নিয়ে ঢুকে গেলাম ডান দিকের গেট বরাবর।যেখানে সৌন্দর্য্য আছে কাশ্মিরের।আছে সাজেকের।আহা!কী সুন্দর!কী মোলায়েম বিকেল।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিষ্ট।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ