সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: সারওয়ার আলম বলেছেন, বর্তমানে পৃথিবীতে বড় বড় সমস্যার মধ্যে পরিবেশ ও প্রতিবেশগত সমস্যা অন্যতম।এর মধ্যে প্লাস্টিক একটি।তিনি বলেন,প্লাস্টিকের পণ্য পরিহার করার কালচার তৈরি করতে হবে।সুস্থ জীবন ও নিরাপদ পৃথিবী গড়তে কালচার পরিবর্তন করতে হবে।প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্য ব্যবহার করার সংস্কৃতি সমাজে চালু করতে হবে।
তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে শনিবার (২২ নভেম্বর) সিলেটে পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এনভায়রনমন্টাল ক্লাবের আয়োজনে প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্যের প্রদর্শনী ও যুব-উদ্যোক্তা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নগরীর চৌহাট্রায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোঃ ফেরদৌস আনোয়ারের সভাপতিত্বে ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: আফজারুল ইসলামের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনেের সচিব আশিক নূর,সিলেট উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি লুবানা ইয়াসমিন শম্পা।এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পদ্মাসন সিংহ,সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলজার আহমদ হেলাল, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসাইন সজীব, পরিবেশ অধিদপ্তর এর সহকারী পরিচালক রুবেল আহমদ প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক বলেন,প্লাস্টিকের গন্তব্যস্থল সমুদ্র।নদী,নালা,খাল বিল হয়ে সমুদ্রে যায়।পরে মাইক্রো প্লাস্টিক তৈরি হয়ে মাছ সহ বিভিন্ন জলজ প্রাণীর উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হয়।অপরদিকে মাটিতে দীর্ঘদিন থেকে পলিথিন থাকে।ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণায় এগুলো রুপান্তর হয়ে নদীতে ইকোসিস্টেম নষ্ট করে দেয়।ফলে খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে মাইক্রোপ্লাস্টিক মানবদেহে প্রবেশ করে।অসুস্থ ও নানা রোগ ব্যাধি সৃষ্টি করে।তিনি বলেন, প্লাস্টিক থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে।প্লাস্টিকের পণ্য আমদানি না করে দেশীয় ও স্থানীয় পরিবেশ বান্ধব পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি বলেন, প্লাস্টিক দূষণ রোধ করতে প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্যের বাজার দ্রুত বৃদ্ধি করতে হবে। তরুণদের নেতৃত্বে এসব পণ্য ভবিষ্যতে পরিবেশের উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করবে।
সকাল ১১টায় প্রধান অতিথি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করে উদ্যোক্তাদের সাথে আলোচনায় অংশ নেন। উদ্বোধনী পর্ব শেষে প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ পরিবেশবান্ধব পণ্যের গুরুত্ব, প্লাস্টিক নির্ভরতা কমানোর প্রয়োজনীয়তা এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার প্রশংসা করে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এনভায়রনমন্টাল ক্লাবের প্রধান নির্বাহী, সাফকাত তাসিন প্লাস্টিক নিয়ে তাদের ক্লাবের বিভিন্ন কার্যক্রমের পাশাপাশি বলেন, এই মেলায় আমরা চেষ্টা করেছি একদম প্লাস্টিক ব্যবহার না করার জন্য। আমরা চাই প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে একটি টেকসই বাংলাদেশ তৈরি করতে। যুব-উদ্যোক্তারা তাঁদের উদ্ভাবিত পরিবেশবান্ধব বিকল্প পণ্য নিয়ে ২২টি স্টলে প্রদর্শনীতে অংশ নেন।