ইউপি নির্বাচনে ৭নং পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নে দলীয় প্রতীক নৌকার আলোচনায় শীর্ষে জমির হোসেন

প্রকাশিত: ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০২১ | আপডেট: ১১:০৬:পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদন :আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের সুবাতাস বইছে  বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, কিন্তু আজো উন্নয়ন বঞ্চিত সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানাধীন ৭নং পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন। এখানে আসা অনুপাত উন্নয়ন হয়নি স্থানীয় সরকার ইউপির মাধ্যমে। সিলেট বিভাগের ভাটি অঞ্চলের রাজনৈতিক উর্বর সুনামগঞ্জের মাটিতে,অনেক জাতীয় মানের বড় মাপের নেতাদের জন্ম হয়েছে,কিন্তু উন্নয়নে পিছিয়ে পড়া সেই চিরচেনা রূপ আজও অপেক্ষমান। সুনামগঞ্জের এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের স্বনামধন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রী হয়েছিলেন জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদ। এই মাটির আলো-বাতাসের সুঘ্রাণ নিয়ে বেড়ে উঠেছিলেন ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রইছ মিয়া,  শ্রেষ্ঠ স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী। বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান ভাটি বাংলার অহংকার, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
এখানেই জন্মগ্রহণ করেছেন তৎকালীন পাকিস্তান আমলে এশিয়া উপমহাদেশের মেধা তালিকার দ্বিতীয় স্থান অধিকারী ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশের ইতিহাসের যোগ সেরা শ্রেষ্ঠ পরিকল্পনামন্ত্রী, হাওর রত্ন, এম এ,মান্নান এমপি। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ জগন্নাথপুর তথা۔ (সুনামগঞ্জ ৩ আসন) মূলত ১৭টি ইউনিয়ন এর সমন্বয়ে গঠিত,পশ্চিম বীরগাঁও ইউপি তার একটি।  ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দরগাহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন মোঃ জমির হোসেন, তিনি পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। অবহেলিত উন্নয়নবঞ্চিত বন্যায় প্লাবিত ডুব অঞ্চলের মধ্য খানে অবস্থিত পশ্চিম বীরগাঁও ইউপি। মোঃ জমির হোসেন,পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে এর আগেও দুইবার ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তিনি সাংবাদিক দবির তালুকদারের সাথে টেলিফোনে তার অভিমত প্রকাশ করে বলেন,মূলত পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নকে  আমার কর্ম ও যোগ্যতা কে কাজে লাগিয়ে ইউনিয়নকে একটি মডেল ও আদর্শ ইউনিয়ন করে গড়ে তুলতে চাই।
তিনি বলেন আমি বিএনপি-জামাত সরকারের আমলে বারবার নির্বাচন করেছি। সরকার দলে থাকা নেতাদের পেশী শক্তি আর বিভিন্ন চাপে, সামান্য ভোটে আমার বিজয় অনিশ্চিত হয়ে পরে। তাই পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন বাসিকে নিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ করার লালিত স্বপ্ন আমাকে বারবার তাড়া করে। তিনি বলেন এবার সুযোগ এসেছে, শেখ হাসিনার মানবিক সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল একটি মডেল রাষ্ট্র হিসেবে যে মিশন হাতে নিয়েছে , তা বাস্তবায়নে আমি তার একজন কর্মী হিসেবে অংশগ্রহণ করত চাই।
এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য আমার ইউনিয়ন থেকে আমি ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। ইউনিয়নের বয়োজ্যেষ্ঠ মুরুব্বী,যুবসমাজসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ, আমাকে উৎসাহ এবং নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। আমি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের মানুষের সাথে মতবিনিময় করেছি, উন্নয়ন বঞ্চিত অবহেলিত মানুষের পাশে গিয়ে তাদের কষ্ট ও দুর্দশার কথা শুনেছি। রাস্তাঘাট বিদ্যুৎ ও শিক্ষায় আমার ইউনিয়নটি বাংলাদেশের মধ্যে পিছিয়ে রয়েছে,তাই এবার নেত্রী আমাকে নৌকা উপহার দিলে ইউনিয়নের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে চাই।
ইতিমধ্যে পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নে একের অধিক প্রার্থী দলীয় প্রতীক নৌকা মার্কায় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রচার প্রচারণা ও লবিং করতে দেখা গেছে। দলীয় প্রতীক নৌকা মার্কার মনোনয়ন কতটুকু নিশ্চিত জানতে চাইলে জমির হোসেন বলেন, আমি পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করে আসছি একযুগের বেশি সময় ধরে তাই আশাবাদী। আমি দুর্দিনে আওয়ামীলীগের কর্মী হিসেবে কাজ করেছি। বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি মতিউর রহমান সাহেব,জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট সাহেব,সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন,সাহেবসহ সকলের সাথে আমার দলীয় সম্পর্ক রয়েছে। আমি জাতীয় নেতা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত আব্দুস সামাদ আজাদের কর্মী ছিলাম ছাত্রজীবনে, একাধারে যুবলীগ করেছি,বর্তমানে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছি, সুনামগঞ্জ ৩ আসনে গত নির্বাচনে নৌকার পক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপির সাথে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার।
এম এ মান্নান মন্ত্রী মহোদয় আমাকে পছন্দ করেন, তিনি সৎ মানুষ, মানুষের উন্নয়নমূলক কাজ করাকে তিনি দায়িত্ব ও ইবাদত মনে করেন। এবার দল আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়ে মূল্যায়ন করলে, ইউনিয়নের মানুষের ভালোবাসা পেলেই তাহার সাথে কাজ করার সৌভাগ্য আমার হবে। তিনি আরও বলেন আমি ইউনিয়নবাসীর শাসক নয়, সেবক হতে চাই।
আমি পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন বাসীর কাছে ঋণী কারণ মানুষ আমাকে বারবার ভালোবেসে ভোট দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে,আমি একজন নগন্য কর্মীকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দিলে,উন্নয়নের মাধ্যমে ইউনিয়ন বাসীর ঋণ শোধ করতে চাই ।এখন সময়, সুযোগ এসেছে,মানুষের জন্য রাস্তাঘাট ও শিক্ষা উন্নয়নে কাজ করার, তিনি ইউনিয়ন বাসীর সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করেন, এবার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হলে ইউনিয়ন বাসীর আশা-ভরসার প্রতিফলন ঘটবে বলে মনে করেন মোঃ জমির হোসেন।