দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যসহ আহত ১০

প্রকাশিত: ১০:৪৪ অপরাহ্ণ, জুন ৮, ২০২২ | আপডেট: ১০:৪৪:অপরাহ্ণ, জুন ৮, ২০২২

টাঙ্গাইলে জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবুল কাশেমসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলা জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভা কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরেই জাতীয় পার্টির দুই পক্ষ প্রস্তুতি নিচ্ছিল। জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক ও শহর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আহসান খানের অনুসারীরা সকালেই সভাস্থল টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের হলরুমে প্রবেশ করে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেন। জাতীয় পার্টির মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সভাস্থলে আসার পর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় ও হামলার ঘটনা ঘটে।

এ সময় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জেলা শাখার আহ্বায়ক আবুল কাশেমসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। ডান পাশের পাঁজরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতপ্রাপ্ত হন আবুল কাশেম। তাঁকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী মজিবুল হক ওরফে চুন্নুর সামনেই এই হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।

হামলার বিষয়ে আবুল কাশেম প্রথম আলোকে বলেন, সকাল থেকে জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক তাঁর কর্মীদের দিয়ে প্রেসক্লাবের সিঁড়ি দখল করে রাখেন। সকালে কেন্দ্রীয় নেতাদের সার্কিট হাউস থেকে সভাস্থলে যাওয়ার সময় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলার সিঁড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি এই হামলার জন্য যুগ্ম আহ্বায়ক মোজ্জাম্মেল হকের কর্মীদের দায়ী করেন।

অভিযোগের বিষয়ে যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘কাশেম সাহেব ও আমি মঞ্চেই ছিলাম। তিনি যে অভিযোগ করেছেন, তা সত্য নয়।’

বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মজিবুল হক। এ ঘটনায় সভা সংক্ষিপ্ত সময়ে শেষ করা হয়। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন ওরফে খোকাসহ অন্যরা।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।’