সিলেট চেম্বার নির্বাচন: ‘মামলা করবে’ সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ

প্রকাশিত: ৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ, |                          

সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন নিয়ে জট কাটছে না সহসাই। বরঞ্চ জট আরও জটিল হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে। চেম্বারের প্রেসিডিয়াম থেকে ‘ছিটকে পড়া’ সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ নির্বাচন নিয়ে মামলার ইঙ্গিত দিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়। এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে চেম্বারের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার জলিলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিলেট সম্মিলিত পরিষদ থেকে নির্বাচিত পরিচালক আব্দুর রহমান জামিল বলেন, চেম্বারের যে প্রেসিডিয়াম গঠন করা হয়েছে, এর বিরুদ্ধে আজ বিকালে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের কাছে আপিল করা হবে। আপিলে বিষয়টির সুরাহা না হলে তারা মামলার দিকে এগোবেন।

‘সিলেট চেম্বারের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড শুরু থেকেই ষড়যন্ত্র করে আসছিল’ বলেও মন্তব্য করেন জামিল। গত শনিবার সিলেট চেম্বারের নির্বাচন সম্পন্ন হয়। নির্বাচনে সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ ও সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ থেকে সমান ১১ জন করে পরিচালক নির্বাচিত হন। কোনো প্যানেলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় প্রেসিডিয়াম গঠন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। গতকাল সোমবার বিকাল ৩টায় প্রেসিডিয়াম গঠনের জন্য সময় নির্ধারিত ছিল।
চেম্বার সূত্র জানায়, ভোটের জন্য সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি ও সহসভাপতি পদে প্রার্থীদের নাম গত রোববার নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের কাছে জমা দেয় উভয় প্যানেল। এক্ষেত্রে একই পরিচালকের নাম একাধিক পদেও জমা দেওয়া হয়েছে। সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ সভাপতি পদে আবু তাহের মো. শোয়েব (বিদায়ী সভাপতি), তাহমিন আহমদ ও ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদের নাম দেয়। বিপরীতে সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ সভাপতি পদে একমাত্র আব্দুর রহমান জামিলের নাম জমা দিয়েছে। সিনিয়র সহসভাপতি পদে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ তাহমিন আহমদ ও ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদের নাম জমা দেয়। আর সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ দেয় জিয়াউল হকের নাম। সহসভাপতি পদে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ মো. আতিক হোসেন এবং সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ হুমায়ূন আহমদের নাম জমা দেয়।

প্রেসিডিয়াম গঠন নিয়ে সোমবার উত্তেজনা দেখা দেয় উভয়পক্ষের মধ্যে। সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের তাহমিন আহমদ নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের কাছে একটি অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ নির্বাচনে দুটি শ্রেণি থেকে নির্বাচিত হয়ে প্রেসিডিয়ামের তিনটি পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে। সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ থেকে নির্বাচিত অর্ডিনারি শ্রেণির প্রার্থী আব্দুর রহমান জামিল ও হুমায়ুন আহমদ যথাক্রমে সভাপতি ও সহসভাপতি পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। কিন্তু চেম্বারের সংঘবিধি অনুসারে, এ দুটি পদে দুটি ভিন্ন শ্রেণি থেকে নির্বাচিতরা প্রার্থী হতে পারবেন। কাল রাতে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড জানায়, তাহমিন আহমদের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে চেম্বারের সংঘবিধির ১২ (বি) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আব্দুর রহমান জামিল ও হুমায়ুন আহমদের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়।

নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড সভাপতি পদে সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের তাহমিন আহমদকে সভাপতি ও আতিক হোসেনকে সহসভাপদি পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে। এ ছাড়া একই প্যানেল থেকে সিনিয়র সহসভাপতি পদে ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ বিজয়ী হন।

সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ এই প্রেসিডিয়াম নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করে।