এমসি কলেজে ধর্ষণ: আদালত পরিবর্তনে আবেদনের শুনানি ৭ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশিত: ৫:৩৫ অপরাহ্ণ, |                          

সিলেটের এমসি (মুরির চাঁদ) কলেজে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিচারিক আদালত পরিবর্তন চেয়ে করা আবেদনের ওপর আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম লিটন।

এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন এই মামলার বাদী।

আবেদনকারীর আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম লিটন বলেন, ‘বাদী ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে বিচারিক আদালত পরিবর্তনের আবেদন করেছেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ৫২৬ ধারায় আদালত পরিবর্তনের এই আবেদন করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এমসি কলেজে বেড়াতে আসেন ধর্ষণের শিকার তরুণী। এ সময় ক্যাম্পাস থেকে কয়েকজন ছাত্র ওই তরুণীকে স্বামীসহ কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা স্বামীকে বেঁধে মারধর এবং গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী সেদিন (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ৬ জনকে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলো− এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র। এরই মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব আসামিকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গত ৩ ডিসেম্বর সাইফুরসহ ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। পরে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। এ অবস্থায় মামলাটি আদালত পরিবর্তনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানান মামলার বাদী।