সিলেট ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:২৭ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২১
বাবার পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পরেন ছেলে। পরে ওই মেয়ের সঙ্গেই ছেলেকে বিয়ে দিয়ে দেন মা হনুফা বেগম। এরপর থেকেই স্বামী মোজাফফর আলী ওরফে জহুরুলের সঙ্গে কলহ শুরু হয়ে যায় মায়ের। সবশেষ গত শনিবার (২ জানুয়ারি) কলহের জেরে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মা।
এখন তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ঘাস নিধনের বিষ পান করেছেন তিনি, অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ বিষয়ে হনুফা বেগমের মা অভিযোগ করেছেন, হনুফার স্বামী চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত হাইস্কুলের শিক্ষক মোজাফফর আলীর পরকীয়া ছিলো। এ কারণে অতিরিক্ত টেনশনে বিষপান করে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলো হনুফা।
এদিকে, ওই শিক্ষক জহুরুল তার স্ত্রীকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করছেন সাংবাদিকদের কাছে।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত হাইস্কুলের প্রাক্তন এক ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো শিক্ষক মোজাফফর আলীর। সেই সুবাদে ওই ছাত্রী জহুরুল ইসলামের স্বশুরবাড়ি দৌলতদিয়াড়ে প্রায় যাতায়াত করতো। একপর্যায়ে জহুরুলের ছেলে শুভর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ বিষয়টি তার মা হনুফা বেগম জানতে পেরে গোপনে মেয়েটির সঙ্গে ছেলের বিয়ে দিয়ে দেন। এতেই স্বামী জহুরুলের সঙ্গে মনোমালিন্য শুরু হয় হনুফা বেগমের।
স্থানীয়রা জানান, এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। একপর্যায়ে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে হনুফা বেগম বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
স্থানীয়রা আরো জানান, জহুরুলের গ্রামের বাড়ি ছিলো হায়দারপুরে। সেখানেই কাজ করতেন হনুফা। কাজ করার সুবাদে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, এরপর বিয়েও করেন তারা। কিন্তু জহুরুলের পরিবার বিষয়টিকে মেনে নেয়নি। এ কারণে হনুফা তার বাবার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের দৌলতদিয়াড়ে থাকতেন। দৌলতদিয়াড়ে জহুরুল মাঝে মাঝে যাতায়াত করতেন। বেশিরভাগ সময় তিনি নিজ গ্রাম হায়দারপুরে অবস্থান করতেন।
অভিযোগ আছে, জহুরুল তার স্ত্রীকে তালাকের ভয় দেখিয়ে অনৈতিক কাজ করতেন।
জানা গেছে, ২০০৭ সালে নিজ গ্রাম ও একই বিদ্যালয়ের আরেক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলো জহুরুল। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সে সময় টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেন তিনি।
এসব বিষয়ে শিক্ষক জহুরুলের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. সোহানা আহমেদ বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘হনুফা নামে বিষপান করা এক নারীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। প্রথমে তার শরীরের পাকস্থলী থেকে সেটি ওয়াশ করা হয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালেই ভর্তি করে রাখা হয়েছে।’
সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত সদর থানার এএসআই শাহিন বলেন, ‘বিষপান করে এক নারী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বর্তমানে অজ্ঞান অবস্থায় আছেন তিনি। বিষয়টি থানা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
Chief Editor : Afroz Khan
Editor: Sunny Ahmed
Executive editor: Mohammed Taizul islam,
Message editor : Shahan Shah Ahmed
Call: +88 01995-019920
Office : West World Shopping City (7nd Floor), Zindabazar, Sylhet 3100
Email : info.Sylhetnewsworld@gmail.com
Web : www.SylhetNewsWorld.com