বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সিলেট জেলার পক্ষে থেকে স্মারকলিপি প্রদান

প্রকাশিত: ১:৪৯ পূর্বাহ্ণ, |                          

মাত্রাতিরিক্ত হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিল করে সহনশীল পর্যায়ে হোল্ডিং ট্যাক্স পুনঃনির্ধারনের জন্য সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর হাতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
১২মে রবিবার দুপুরে নগর ভবনে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সিলেট জেলার পক্ষে থেকে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ্য করা হয়- সম্প্রতি সিলেট সিটি কর্পোরেশন থেকে নতুন করে অস্বাভাবিক হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্য্য করে তা প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ পূর্বের নির্ধারিত হোল্ডিং ট্যাক্সের বড় অংকের বকেয়া আদায় করতে পারেনি সিসিক কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় আপনি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর সিটি করর্পোরেশনের ইতিহাসে নজিরবিহীন হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারন করা হয়েছে। যার মধ্যে ৫০০ গুন বেশি একটি ট্যাক্স নির্ধারন জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। তাছাড়া ৫০০ টাকার একটি বাড়ির ট্যাক্স বেড়ে হয়েছে ৮ হাজার টাকা। ট্যাক্স পরিশোধ করা ব্যবসায়ী, বাসাবাড়ীর বাসিন্দাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য অসম্ভব। মহামারী করোনা, বন্যা, বৈশ্বিক মন্দা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও চড়া দ্রব্যমূল্যের এই সময়ে বিপর্যস্ত নগরবাসীর উপর আরোপিত হোল্ডিং ট্যাক্স কোন অবস্থাতেই গ্রহনযোগ্য নয়। আমরা ব্যবসায়ী মহলসহ নগরবাসী অবশ্যই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমাদের স্বপ্ন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সিলেট নগরী একটি সুন্দর আধুনিক ও আরো মর্যদাশীল হয়ে উঠুক। সে লক্ষ্যে আমরা সিটি করর্পোরেশনের যাবতীয় কর প্রদানে বদ্ধপরিকর। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে সাম্প্রতিককালে সিসিক নির্ধারিত অস্বাভাবিক ট্যাক্স নগরবাসীকে বিষ্মিত করেছে। অকল্পনীয় ট্যাক্সের এই ঘোষণায় সকলের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি ট্যাক্স প্রদানে উৎসাহিত করার পরিবর্তে গ্রাহকদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। সিটির উন্নয়নে আমরা সবাই ট্যাক্স প্রদানে আন্তরিক। কিন্তু ট্যাক্সের বোঝা মাথায় চাপিয়ে দিলে সেটা বহন করা হবে দুঃসাধ্য। সাথে সাথে গ্রাহকরা হবেন বিপদগ্রস্থ। সিসিকের বকেয়া কর পাহাড় সমান হয়ে রয়েছে। এ অবস্থায় সিলেট নগরীর বিশিষ্টজন, গুনীজন নগর-পরিকল্পনাবিদ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সহনীয় পর্যায়ে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারনে উদ্যোগ নেওয়া জরুরী বলে আমরা মনে করি। যাতে নগরবাসী স্বতঃস্ফূতভাবে সিসিকের ট্যাক্স প্রদান করে সকল নাগরিক সুবিধা ভোগ করতে পারেন। সিলেট মহানগরীর বৃহৎ জনগোষ্ঠীর প্রাণের দাবি মাত্রাতিরিক্ত হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিল করে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ও সহনশীল ট্যাক্স পূনঃনির্ধারন প্রক্রিয়া গ্রহন করে নগরবাসীর স্বস্থি ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করবেন। তাছাড়া সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিসহ বিশেষজ্ঞ মতামতের মাধ্যমে কর নির্ধারন ও আদায়ের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহনের অনুরোধ জানাচ্ছি। শুধু কর নির্ধারন নয়। কর যাতে স্বাচ্ছন্দে গ্রাহকরা প্রদান করতে পারেন সেই বিষয়টার বাস্তব সম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। এ অবস্থায় গ্রাহকদের নিরুৎসাহিত করে নয় বরং উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে কর আদায় ও নির্ধারন পদ্ধতি অবলম্বন করে আমাদের উপকৃত করবেন। বর্তমানে ব্যবসা বাণিজ্য মন্দা অবস্থাসহ আয়ের সাথে ব্যয়ের বিরাট ফারাক থাকায় নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত পরিবার আজ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। রাজপথে নেমে এসেছেন নগরীর বাসীন্দারা। ধীরে ধীরে ক্ষোপের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। অযৌক্তিক ট্যাক্স বাতিল করে যৌক্তিক ট্যাক্স নির্ধারনের দাবিতে আন্দোলনের দানা বেঁধে উঠার আশংঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সিলেট নগরীতে হোল্ডিং ট্যাক্স সহনশীল পর্যায়ে নির্ধারনের দাবিতে আন্দোলন ও শুরু হয়ে গেছে। এ অবস্থায় জরুরী ভাবে নাগরিকদের স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আপনার প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। নগরবাসী আপনাকে নিয়ে অনেক আশাবাদী। সেই আশা আকাংক্ষা পূরণে যেনো আপনার সদয় মর্জি হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সিলেট জেলার সভাপতি মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান রিপন, সহ-সভাপতি মো. আতিকুর রহমান, ছাদ মিয়া, সাংগঠনিক সচিব নিয়াজ মো.আজিজুল করিম, মো. আব্দুল আহাদ, মো. আবুল হোসেন, লুৎফুর রহমান লিলু, মুফতি নেহাল উদ্দিন, শাহ আহমদুর রব, মোহাম্মদ আলী আকিক, মো. আব্দুস সুবহান, হাজী আব্দুস সাত্তার, যুগ্ম-মহাসচিব হোসেন আহমদ, মনজুর আহমদ, সৈয়দ জাহিদ উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম শফিক, মো. মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাংগঠনিক সচিব মো. আতাউর রহমান রজব, জাকির আহমদ, মো. আলেক মিয়া, রাজু আহমদ, মীর মো. জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ মো. নাহিদুর রহমান, প্রচার সচিব তাহমিদুল হাসান জাবেদ, সালাউদ্দিন আহমদ বাবলু, ইয়াসিন সুমন, যুগ্ম ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সচিব রাসেল আলী, যুগ্ম সমাজকল্যাণ বিষয়ক সচিব সৈয়দ রাজন আহমদ, কার্যনির্বাহী সদস্য রিয়াদ রহমান, আশিক আহমদ প্রমুখ।