সিলেট থেকে নির্বাচনি প্রচার শুরু করে নৌকায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ৯:৫৩ অপরাহ্ণ, |                          

বুধবার (২০) ডিসেম্বর সকালে হযরত শাহজালাল (র:) ও হযরত শাহ পরান (র:) এর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন শেখ হাসিনা। মাজার জিয়ারতকালে সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আগামীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়ে সিলেটে দেশবাসীর কাছে তাঁর দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকায়’ ভোট চেয়েছেন।আর এর মাধ্যমে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তাঁর দলের আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন তিনি।
সিলেটের জনসভায় রাষ্ট্র প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে আমরা যাদের নৌকা মার্কার প্রার্থী দিয়েছি তাদেরকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে দেবেন। আপনাদের কাছে সেটাই আমার আহ্বান। সম্প্রতি রেলে অগ্নিসংযোগের পেছনে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছেন যে অগ্নিসংযোগ এবং মানুষ হত্যার সাথে জড়িতদের প্রতি কোন করুণা দেখানো হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিএনপি-জামায়াত চক্র নির্বাচন বানচাল এবং আগামী নির্বাচনে জনগণকে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করতে চাইলেও তিনি বলেন, মানুষ নির্বাচন ও ভোটের পক্ষে। বিএনপি’র হরতালে জনগণ সাড়া দিচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা কী লাভ করবে,বরং শেষ পর্যন্ত জনগণ তাদের ঘৃণা করবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে আসে তখনই জনগণের কল্যাণ করে এবং আওয়ামী লীগ সরকার একে একে জনগণের সকল মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করে যাচ্ছে। তিনি বলেনমানুষ ঠিকানাহীন, গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না।” তিনি বলেন, গরীব- দু:খী জনগণের মুখে হাসি ফোটানো আমি জানি আমাদের সরকার আবার ক্ষমতায় এলে তা কার্যকর হবে। তিনি আরও বলেন রেললাইন উপড়ে ফেলা এবং রেলের বগিতে আগুন দেওয়া সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড।কারণ সরকারি সম্পত্তি গণমানুষেরই  সম্পত্তি।“, পুলিশ, সাংবাদিক এবং জনগণের ওপর হামলা করাটা কোন ধরনের রাজনীতি?আপনারা কি নৌকার প্রার্থীদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন?” প্রধানমন্ত্রী সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে এ প্রশ্ন রাখলে উপস্থিত জনতা সমস্বরে দুই হাত তুলে তাতে সম্মতি জানায়।তিনি বলেন, “৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ ‘নৌকা’ প্রতীকে ভোট দিলে এবং আমরা যদি আবার সরকার গঠন করতে পারি, তাহলে জনগণের বাকি চাহিদাগুলোও পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ।”