কেমুসাস বইমেলা : ৩য় দিনে বেড়েছে দর্শণার্থী

প্রকাশিত: ৮:৪৩ অপরাহ্ণ, |                          

বিজয়ের মাসের শুরুর দিনে সিলেটে ষোলোদিন ব্যাপী সপ্তদশ কেমুসাস বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। মেলার উদ্বোধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত গুনী শিল্পী সুষমা দাস। রোববার ছিল (০৩ ডিসেম্বর) মেলার তৃতীয় দিন। তবে ২য় দিনের চাইতে রোববার মেলায় ভিড় বেড়েছে বইপ্রেমী পাঠক, লেখক, দর্শনার্থীর।

সরেজমিন মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে অনেকেই দল বেঁধে বইমেলায় এসেছেন। কেউ কেউ বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে, কেউবা পরিবার পরিজন, প্রিয় মানুষকে নিয়ে। শিশু, কিশোর-কিশোরীরাও এসেছে। মেলায় আগতরা ঘুরে ঘুরে দেখছেন নিজের প্রিয় লেখকদেরসহ মেলায় আসা নতুন বইগুলো। এ স্টল থেকে ওই স্টলে ঘোরাঘুরিতে কাটিয়ে দিচ্ছে সময়। পছন্দমত বইও কিনছে। অনেকে আবার দল বেঁধে এসে বিভিন্ন স্টল ঘুরে চলে যাচ্ছেন।

বইমেলায় আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মাসুদা আক্তার বলেন, কেমুসাস বইমেলার খবর পেয়েই চলে আসা। মেলা তেমন একটা না জমলেও, দিন যত যাচ্ছে মেলায় মানুষ বাড়বে। বাকি দিনগুলোতে বইপ্রেমী পাঠক, দর্শনার্থীদের ভিড় আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।

দো’আশ প্রকাশনার স্টলে কথা হয় লেখক ও গল্পকার তসলিমা আক্তার বিথীর সাথে। তিনি জানান, দোঁআশ থেকে ‘সাতাশ কিলোমিটারের দাম্পত্য’ নামে একটি উপন্যাস বের হয়েছে। শুরুর দিন বেশ কয়েকটি বই বিক্রি হয়েছে। আশা করি দিন যত যাবে বইপ্রেমী ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় তত বাড়বে। জসিম বুক হাউসের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন জানান, কেমুসাস মেলায় এবারের আয়োজন সম্পুর্ণ ব্যতিক্রম। আশা প্রকাশ করছি-মেলা প্রাঙ্গণে এসে কোনো পাঠকই হতাশ হবেন না। বরং দেশের স্বনামধন্য প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত বইগুলো হাতের নাগালে পেয়ে যাবেন।
এদিকে সপ্তদশ বইমেলার কর্মসুচী অনুযায়ী প্রতিদিনকার মতো ৩য় দিনও ছিল চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা। প্রতিযোগীতায় তিনটি গ্রুপ থেকে প্রায় ৪০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার রয়েছে ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপের হাতের লেখা প্রতিযোগীতা। প্রতিযোগীতা পরবর্তী আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বইমেলা উৎসব কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ সাইফুল করিম চৌধুরী হায়াত। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যজন ও চিত্রশিল্পী শামসুল বাসিত শেরো। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কবি কামাল আহমদ।
বইমেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, লেখক ও পাঠক হলেন বইমেলার প্রধান আকর্ষণ। সেই বিবেচনা মাথায় রেখে লেখক আড্ডার জন্য মেলা প্রাঙ্গণে দুটি স্টল বরাদ্ধ রাখা হয়েছে। একইসাথে লিটন ম্যাগ কর্ণারও রয়েছে মেলা প্রাঙ্গনে। তিনি বলেন, আমরা মেলায় দর্শনার্থী কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিদিন ব্যাপক কর্মসূচীর আয়োজন করেছি। সবকিছু মিলে একটি সমৃদ্ধ আয়োজনের মধ্য দিয়ে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই মেলার মূল লক্ষ। বিশেষ করে দেশের স্বনামধন্য প্রকাশনা সংস্থার প্রকাশিত বইগুলো সংগ্রহ করার সুযোগ পেয়ে সকলেই পাঠমুখী হবেন।
এবারের বইমেলাটি সাহিত্য সংসদের সাবেক সভাপতি দেওয়ান ফরিদ গাজীর স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে। দরগাগেইটস্থ সংসদ চত্বরে আয়োজিত বইমেলা প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।