পদ্মা সেতু পার হচ্ছে মোটরসাইকেল, তবে অন্যভাবে

Jaber Jaber

Ahmed

প্রকাশিত: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, |                          

বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু যানবাহনের জন্য খুলে দেয়ার প্রথমদিনেই ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা। সেতুতে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণে দুর্ঘটনায় কবলে পড়ে দুই আরোহী নিহত হন। এছাড়া সেতুতে মোটরসাইকেল থামিয়ে সেলফি তোলা, টিকটক করা ও সেতুর রেলিংয়ের নাট-বল্টু খোলার ঘটনাও ঘটে। এতে আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। তবে নিষেধাজ্ঞার পর ভিন্ন কৌশলে পার হচ্ছে মোটরসাইকেল।

আজ সকালে দেখা গেছে, সেতুর টোল প্লাজা থেকে ফেরত যাচ্ছে অসংখ্য মোটরসাইকেল। তাদের বিকল্পপথ দিয়ে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। যারা জরুরি কাজে আসছিলেন তারা পিকআপে করে পদ্মা সেতু পারাপার করছেন মোটরসাইকেল। তবে চালকদের প্রতি মোটরসাইকেলের জন্য পিকআপ ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা।

শরীয়তপুর থেকে আসা শাহ আলম নামে এক মোটরসাইকেল চালক জানান, জরুরি কাজে আসছিলাম। নিষেধাজ্ঞা থাকায় ফেরিঘাটে যাই। কিন্তু ঘাটে গিয়ে দেখি ফেরি বন্ধ।

কিন্তু যেভাবেই হোক ঢাকা যেতে হবে। তাই এখন ৭০০ টাকা পিকআপ ভাড়া দিয়ে সেতু পার হচ্ছি।
মামুন খান নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, সকাল ৬টায় পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে আসি। টোল প্লাজার দায়িত্বরত পুলিশ মোটরসাইকেল পার হতে দিচ্ছে না। আমি জানতাম না সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ। পরে ৪০০ টাকা দিয়ে পিকআপে মোটরসাইকেল পার করি।

এদিকে সেতুর আশপাশে মাইকিং করে যাত্রীদের সতর্ক করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। যাত্রীরা সেতুতে যানবাহন থামিয়ে ছবি তোলা ও ভিডিও না করার আহ্বান জানান তারা।

জাজিরা প্রান্তে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ নেওয়াজ জানান, সকাল থেকে সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পার হতে পারছে না। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর অবস্থানে রয়েছে।